রাজশাহীতে বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা শাহিন হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসি

নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী মহানগরীতে বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম ওরফে শাহিন শাহ হত্যা মামলায়
৯ জনের ফাঁসি ও ২২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচএম ইলিয়াস হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হাসানুজ্জামান হিমেল (৩৮), তৌফিকুল ইসলাম চাঁদ (৪৫), মহাসীন (৫০), সাইরুল (২৬), রজব (৩২), বিপ্লব (৩৫), গুড়িপাড়া এলাকার মমিন (৩০) এবং আরিফুল ইসলাম (২৬)।

রাজশাহীতে বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা শাহিন হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসি

এরমধ্যে মমিন ও আরিফুল পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মহানগরীর বুলনপুর জিয়ানগর এলাকার লাল মোহাম্মদ ওরফে লালু (৩৮), মাহাবুল হোসেন (৪২), সাত্তার (৪৫), সাজ্জাদ হোসেন (৩৮), বখতিয়ার আলম রানা ওরফে রংলাল (৩৫), হাসান আলী (৩২), মাসুদ (৩৫), রাসেল (৩২), রাজা (৩২), মর্তুজা (৩০), সুমন (৩০), গুড়িপাড়া এলাকার আসাদুল (২২), আখতারুল (২৫), জইদুর রহমান (৪৮), ফরমান আলী (৪০), জয়নাল আবেদিন (২৫), রাজু আহমেদ (২৮), আকবর আলী (৪৫), সম্রাট হোসেন (১৯), টিয়া আলম (৩০), আজাদ হোসেন (৩৫) ও মাসুম (২৬)। এদের মধ্যে আজাদ ও মাসুম পলাতক রয়েছে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুসাব্বিরুল ইসলাম জানান, শাহীন শাহ হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। নিহত শাহিন শাহ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্যানেল মেয়র-২ ও এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোট ভাই। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তিনি। শাহেন শাহ রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পর দিন নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়।

গত বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়। তারপর থেকে দফায় দফায় রায় ঘোষণার দিন পেছাচ্ছে। মামলার বাদীপক্ষ দ্রুত রায় ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। প্রথম রায় ঘোষণার দিনের এক বছর পর রায় ঘোষণা করা হলো।

মামলায় সাক্ষী ছিলেন ২৪ জন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।উল্লেখ্য,২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট গুড়িপাড়া সাকিনের ক্লাব মোড়ে শাহিন শাহকে একা পেয়ে আসামিরা তাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে শাহিনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।