রাজশাহীতে এখনও নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশা

ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না),রাজশাহী ব্যুরোঃ যানজট নিরসনে গেল মাসের শুরু থেকেই রাজশাহী মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করার কথা ছিলো। সিটি করপোরেশন বলেছিল, দিনের দুই ভাগে পালাবদল করে চলাচল করবে মেরুন ও পিত্তি রঙের অটোরিকশা। ফলে কমবে যানজট। কিন্তু এখনও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।

গত ১লা জুলাই ‘স্মার্ট অটোরিকশা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামের একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান। প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী, সকাল ও বিকেল দুই পালায় দুই রঙের গাড়ি চলবে। অটোরিকশার মালিক ও চালকদের দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ড। মাসের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে সকাল ছয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মেরুন রঙের অটোরিকশা এবং বেলা আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত পিত্ত রঙের অটোরিকশা চলাচল করবে।

এ ছাড়া মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে সকাল ছয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পিত্তি রং ও বেলা দুইটা থেকে রাত সাড়ে দশ পর্যন্ত মেরুন রঙের অটোরিকশা চলাচল করবে। তবে শুক্রবারসহ সরকারি ছুটির দিনে সারা দিন এবং প্রতিদিন রাত সাড়ে দশটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত দুই রঙের অটোরিকশাই চলতে পারবে। এই নীতিমালার জন্য অটোরিকশার লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমাও বেঁধে দেয়া হয়। যেসব অটোরিকশা নীতিমালার ভেতরে না আসবে সেগুলো ১লা নভেম্বর থেকে জব্দ করারও ঘোষণা দেয়া হয়।

প্রথম দফায় অটোরিকশার লাইসেন্স নবায়নের জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়। এরপর ১লা নভেম্বর ৯৪ টি অটোরিকশা জব্দও করা হয়। তারপর আর অভিযান হয়নি। নবায়নের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে এখনও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত নবায়ন কার্যক্রম চলবে।

এদিকে অটোরিকশাগুলো এখনও নীতিমালার ভেতর না আসায় শহরে যানজট একটুও কমেনি। অটোরিকশার চাপে নগরীর রেলগেট, সাহেববাজার, গণকপাড়া, লক্ষ¥ীপুর, শিরোইলসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন পা ফেলার জায়গা থাকে না। যেখানে সেখানে পার্কিং এবং যাত্রী ওঠা-নামার কারণে যানজট হয়ে পৌঁছেছে অসহনীয় পর্যায়ে। এসব সামলা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরাও।

স্মার্ট অটোরিকশা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে জানতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা (লাইসেন্স) সারোয়ার হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত আড়াই হাজারের মতো অটোরিকশা লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। লাইসেন্স দেয়া হবে ১০ হাজার অটোরিকশাকে। শহরে এর চেয়েও বেশি অটোরিকশা রয়েছে। নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ না হওয়ার কারণে অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। তবে কার্যক্রম শেষে অভিযান শুরু হলে যানজট কমে আসবে।