রাজশাহীতে একজন নার্সসহ ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রন্ত সন্দেহে ভর্তি

রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে একজন নার্সসহ ১২ জন করোনাভাইরাস আক্রন্ত সন্দেহে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চিকিৎসকরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও ছয়জন নারী। তাদের বেশির ভাগেরই বর্তমান অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে। তবে তিনজন পুরুষ ও নার্সকে পর্যবেক্ষনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মিডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও করোনা চিকিৎসক সমন্বয় কমিটির আহবায়ক আজিজুল হক আজাজ।তিনি আরও বলেন, নার্সটি গত ১০ দিন ধরে জরে ভুগছেন। এছাড়া তার করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হওয়ার অন্যান্য উপসর্গগুলোও রয়েছে। তাই তাকে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।গত ১ এপ্রিল থেকে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে চালু করা হয়েছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব।

শুক্রবার পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলের আটজনের নমুনা সংগ্রহ করে এ ল্যাবে পাঠানো হয়। তবে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচজনের। এখন পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের কারও শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া পায়নি।এদিকে, শনিবার জেলা প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত মার্চ মাসে রাজশাহীতে বিদেশ থেকে এসেছে দুই হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয় এক হাজার ৮০ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩১৪ জন।

আর ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৭৬৬ জনকে। গত ২০ ঘন্টায় চারজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। এরা সভায় মোহনপুরে।সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো হামিদুল হক বলেন, রাজশাহীর সব উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। কোন রোগি যেন চিকিৎসা বঞ্চিত না এবং সব কর্মহীন মানুষ যেন খেতে পান সেদিকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও মানুষকে বাড়িতে রাখতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার দেয়া হিসাবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ জন। মারা গেছেন ৮ জন। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩০ জন। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। লোকজনকে বাড়িতে রাখতে দেশজুড়ে আইনশৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে কাজ করেছে সেনা সদস্যরা।