রাজন শেখের হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে পুলিশ কমিশনারের গেটে আবস্থান কর্মসূচি

ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না)ঃ রাজশাহী মহনগরীর ১৬ নং ওয়াডে মালদা কলনী (বউ বাজার) থেকে সোমবার সকাল ১১টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে। বউ বাজার থেকে বের হয়ে সরাসসি শাহমখুদ থানা পুলিশ কমিশানার কার্যালয়ের গিয়ে থানা ভিতর ঢোকার চেষ্টা করে। থানা পুলিশ বাধা দিলে তারা থানার গেটে বসে পড়ে। পরে শাহমখদুম থানা ভারপ্রপ্ত কর্মকতা তাদের শান্তনা দিয়ে তারা সেখান থেকে ফরে আসে মিছিলটি মালদাহ কলনি বউ বাজারে শেষ হয়। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন নিহত রাজনের মা মোসাঃ বানু বেগম, এই মিছিলে এলাকার ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে এলাকা অনেকে অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন রকম স্লোগান দেন মাদক কারবারি ফঁসি চাই, হত্যাকারি সোহেল ও হত্যাকরি পিতা- আরমান হোসেন ও হত্যকারির মাতার ফাঁসি চান।

শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মাসুদ পাভেজ বলেন, রাজান হত্যার মামলা মুল আসামী সোহেল ও তার চাচা আঃ রহিমকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করছে পুলিশ । এর সঙ্গে আর কারা জড়িত অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

নিহত রাজন শেখের মা বানু বেগম বলেন, আমার ছেলেকে প্রকাশ্য দিন দুপুরে মালধা কলনি বউবাজারে প্রকাশ্য মানুষের সামনে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে যা এলাকার অনেকে দেখেছে। আমাছেলের হত্যা কারি সোহেল, আদেশ দানকরি শাহানা বেগম, পিতা- আরমান শেখ সবার ফাঁশি দাবি করছি।

মিছিলটি মালধাহ কলনি বউবাজোরে এলে স্থানীয় বিসিক ফঁড়ি এসআই শামিমও তাদের শান্তনা দিয়ে বলেন, হত্যাকরিকে আমরা গ্রেফতার করেছি। যে দিন রাজন হত্যা হয়েছিল সে দিন রাষ্ট্রপতি রাজশাহীতে এসেছিলো। শত ব্যস্তার মধ্যে হলেও আমরা মুল হত্যাকারিকে হত্যার কিছু ক্ষুনের মধ্যে গ্রেফতার করে ফেলেছি। পুলিশ এখনও ততপর আছে যারা এর সঙ্গে জরিত তাদের প্রত্যকে গ্রেফতার করা হবে।

উ্েল্লখ,গত শনিবার ৩০ তরিখ বেলা ১১টা দিকে বখতিয়ারাবাদ (মালধা কলনি) এলাকায় বউ বাজারে রাজন পান-সিগারেটের দোকানে ব্যাবসা করছিলেন। সোহেলের কাছে টাকা পান। টাকা চাইতে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয়। এক পর্যায়ে হঠাৎ সোহেল রাজনের উপর হাসুয়া দিয়ে রাজনের তলপেটে কোপ দায় । এলাকাবাসি আহত রাজনকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।