রাজনৈতিক রেষারেষি-তে ইউনিয়ন পরিষদের বেহাল দশা

মোঃজুরান,দেলদুয়ার উপজেলা প্রতিনিধি,টাংগাইল:
গেলো দশ বছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও তার ছিটেফোঁটাও জোটেনি এই ইউনিয়ন পরিষদের কপালে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৫৩১ টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মান করা হয়েছে। রয়েছে অত্যাধুনিক সকল নাগরিক সুবিধা।
তৎকালীন এমপি ও বার কাউন্সিলের সভাপতি ব্যারিস্টার শওকত আলী খান(রনদা প্রসাদ সাহা’র জামাতা)-এর প্রতিষ্ঠিত কাচারি ঘরকেই পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদে রুপান্তরিত করা হয়। নামে মাত্র ইউনিয়ন পরিষদ হলেও,নেই কোনো আধুনিক নাগরিক সুবিধা,সভাকক্ষ,আইটি কক্ষ ও শৌচাগার।
পরিষদের সামনে অবস্থিত এক টুকরো জমিতেও বসে গাছের হাট। গাড়ি পার্কিং না থাকায় প্রতিনিয়ত হেনস্থার শিকার সাধারন জনগন। লাউহাটি ইউনিয়নে বসবাসরত ৫৫ হাজার জনগনের প্রানের দাবি এখন,সংস্কার অথবা পুনঃ নির্মাণ করা হোক ইউনিয়ন পরিষদ।
বিএনপি মনোনিত বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব ফিরোজ খানের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওয়ান স্টপের টাকা বরাদ্দ থাকলেও পর্যাপ্ত জমির অভাবে ইউনিয়ন পরিষদ পুনঃ নির্মাণ ও ডিজিটালাইজেশন এর আওতায় আনতে পারছি না।তিনি আরো বলেন,যতো টুকু জমি প্রয়োজন আমি দেব,শর্ত হলো ইউনিয়ন পরিষদ আমার নিজ গ্রামে স্থানান্তর করতে হবে।নতুবা জমি দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে লাউহাটির বাসিন্দা,দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক লায়ন শিবলী সাদিক জানান,বিএনপির কোনো চেয়ারম্যান পরিষদে থাকা অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কার কিংবা পুনঃ নির্মাণ করা হবে না। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের অদূরে অবস্থিত ২ বিঘা জমি দিতে আমি ইচ্ছুক,শর্ত হলো বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান থাকা কালীন নয়। বর্তমান চেয়ারম্যান থাকাকালীন পরিষদ ভবন মেরামত কিংবা স্থানান্তর হতে দেওয়া হবে না।
সাধারন জনগন বলছে,রাজনৈতিক রেষারেষি তে ইউনিয়ন পরিষদের এমন দশায় হতাশাগ্রস্ত তারা। শামীম নামের একজন জানান,সেবা পেতে গেলে ভোগান্তির শিকার,নেই উন্নত মানের সরঞ্জাম,বরাদ্দ থাকলেও মিলছে না সংস্কার এবং প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় হয়রানি হতে হচ্ছে। এমতোবস্থায় আমরা রাজনৈতিক ভেদাভেদকে পেছনে ফেলে পরিষদের সংস্কার এবং এলাকার উন্নয়ন চাই।