রাজনীতিতে দুটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, খালেদা জিয়ার মুক্তির ইঙ্গিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের রাজনীতিতে দৃশ্যমান কিছু নাটকীয় ঘটনা ঘটছে যেগুলো ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকার ও বিএনপির মধ্যে আলাপ আলোচনার দৃশ্যমান রূপ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। গতকাল নাইকো খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে উপস্থিত হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও এই মামলায় মির্জা ফখরুল আসামীও নন, আইনজীবীও নন। কাজেই এ মামলার শুনানিতে তার উপস্থিত থাকার কোন কারণ নেই। কিন্তু তারপরও খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলার জন্য তার আদালতে উপস্থিত থাকার অনুমতি দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুনানীর সময় খালেদার পাশের চেয়ারে তিনি বসেছিলেন এবং প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট তারা কথা বলেছেন। ধারণা করা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পর্দার আড়ালে যে তৎপরতা চলছে তার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলার জন্য মির্জা ফখরুলকে অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করছে।

এদিকে গতকাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হয়েছেন। সেখানে তার এনজিওগ্রামে তার হার্টে ৩টি ব্লক ধরা পড়ে। পরে একটি ব্লক অপসারণ করে রিং পরানো হয়েছে। তাকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আরও দুই হেভিওয়েট নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও ড. আব্দুল মঈন খান। তার চিকিৎসকদের সঙ্গে তারা কথা বলেন এবং রোগমুক্তি কামনা করেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটা এখন সচরাচর দেখা যায় না। দেশের রাজনীতিতে এখন কারোর মৃত্যুতে শোকবার্তা দেওয়ার শিষ্টাচারও এখন অনেকটাই উঠে গেছে। তাই অসুস্থ ওবায়দুল কাদেরকে মির্জা ফখরুলদের দেখতে যাওয়াকে দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক দিক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।

খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে যে দেন দরবার চলছে, তারই অংশ হিসেবে এই দুটি রাজনৈতিক ঘটনা বলে অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।