যোগাযোগ বিহীন ইউনিয়ন ধোপাছড়ী

ওসমান চৌধুরী : চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার পাশ্ববর্তী অবহেলিত, অনুন্নত, বঞ্চনার শিকার, পাহাড়ি অঞ্চল ধোপাছড়ী ইউনিয়ন।

১৯৭২ সালে বর্তমান দোহাজারী পৌরসভা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন ইউনিয়নে রুপ নেয়।
পূর্বে পার্বত্য জেলা বান্দরবান উত্তরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা, পশ্চিমে পটিয়া পৌরসভা ও হাসিম পুর ইউনিয়ন,দক্ষিণে সাতকানিয়া উপজেলা। চন্দনাইশ উপজেলার সবচেয়ে ভৌগোলিক অবস্থানে বড় ইউনিয়ন ধোপাছড়ী। চারিদিকে পাহাড় বেষ্টিত একপাশ দিয়ে উত্তাল সাঙ্গু নদী।
ধোপাছড়ী ইউনিয়নে শতকরা ৯০% লোক কৃষি কাজে জড়িত।

ধোপাছড়ী ইউনিয়নের লেবু, আম, কাটাল, লিচু, পেয়ারা, মৌসুমি বিভিন্ন ফলের সমহার এবং বিভিন্ন প্রকারের সবজি উৎপাদন হয়। এই সবজি ও মৌসুমি ফল স্থানীয় চহিদা পুরন করে চট্টগ্রাম শহরে পোঁছানো হয়। ধোপাছড়ী ইউনিয়নের মাঝ রেখা বরাবর প্রবাহিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহি ধোপাছড়ী ছড়া।

গ্রীষ্ম ও বোরো মৌসুমে এই ছড়া খুবই জরুরি হয়ে পড়ে স্থানীয় কৃষকদের। কিন্তু বর্ষামৌসুমে ধোপাছড়ী ইউনিয়ন বাশীর দুঃখের সিমা থাকেনা। সাঙ্গু নদী যখন উত্তাল রুপ নে তখন ধোপাছড়ী ছড়ার পানি পুরো ইউনিয়নের মনুষকে পানি বন্ধি করে রাখে।
তখন বিপাকে পড়েন স্কুল গামী ছাত্র ছাত্রী, অসুস্থ বৃদ্ধ ও গর্ভবতি মহিলা, উৎপাদিত পাঁচন শিল কৃষি দ্রব্য। একবার বর্ষা মৌসুমে স্কুল ছাত্রী কাকলী বড়ুয়া নৌকা পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারায়।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে স্বাধীননতার পঞ্চাশ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো চন্দনাইশ উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি কোনো সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয় নাই।

প্রস্থাবিত খানহাট টু ধোপাছড়ী টু বান্দরবান সড়ক ও জলপথ বিভাগের আওতায় আনাহয়। কিন্তু এখনো সড়কটি আলোর মুখ দেখেনি। দোহাজারী টু দিয়াকুল টু চিড়িংঘাটা টু ধোপাছড়ী একটি সড়ক এল জি ডির অধীনে নির্মিত হয় স্থানীয় চট্টগ্রাম ১৪আসনের সাংসদ বীর মুক্তি যোদ্ধা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশ ক্রমে।তাও কিছু অংশ কাঁচা, কিছু অংশ ব্রীক এবং দোহাজারী অংশ পিছ ঢালাই। ঐ সড়কে মাঝ পথে জিরী বোক নামক স্থানে একটি সেতু নির্মিত হচ্ছে তা সাত বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সেই সেতুর কাজ শেষ করতে পারে নাই নির্মাতা প্রতিষ্টান। অতচ দোহাজারী সাংঙ্গু সেতু এক বছরে পুর্নাঙ্গতা পেতে যাচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রশ্ন আর কত বছর পার হলে জিরী বোক সেতু আসক রুপ পাবে!
অন্যদিকে ধোপাছড়ী ছড়ার সেতুটি বান্দরবান পার্বত্যজেলার সড়ক ও জণপথ বিভাগে টেন্ডার হলেও কার অদৃশ্য শক্তির বলে আজও এই সেতুটির কাজ আলোর মুখ দেখেনি।

ধোপাছড়ী ইউনিয়নের দুর্দশার চিত্র স্ব চোখে না দেখলে বুঝার উপায় নাই। ভাবতে অবাক লাগে যোগাযোগ বিহীন বাংলাদেশে এখনো ইউনিয়ন আছে।