যেকোন সময় মন্ত্রিসভায় রদবদল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় ছোট একটি রদবদল হয়েছিল কিছুদিন আগে। সেখানে কয়েকজন মন্ত্রীর শুধু দফতর ছোট করা হয়েছিল এবং একজন মন্ত্রীর দফতর পরিবর্তন করা হয়েছিল। আবার নতুন করে মন্ত্রিসভার রদবদলের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন বেশ কয়েকজন সদস্য। এই মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

যদিও মন্ত্রিপরিষদবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এখনো মন্ত্রিসভার রদবদলের কোন নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ কর্তন করা, রদবদল করা বা পরিবর্তন করা ইত্যাদি প্রধানমন্ত্রীর একক এখতিয়ার। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী তার ইচ্ছানুযায়ী মন্ত্রিসভা পরিবর্তন পরিবর্ধন করতে পারেন। এ বছরের ৭জানুয়ারি ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করেন। এরপর নতুন কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। মাঝখানে মন্ত্রিসভায় একটি রদবদল করে স্থানীয় সরকার এবং পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত তাজুল ইসলামকে শুধু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যকে পল্লী উন্নয়নের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। একইভাবে মোস্তফা জব্বারকে টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি জুনায়েদ আহমেদ পলককে দেওয়া হয়েছে। আবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন রয়েছে, মন্ত্রিসভার আকার বড় হতে পারে। বিশেষ করে যারা গত নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে তাদের মধ্য থেকে কাউকে মন্ত্রী করা হতে পারে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে এসব গুঞ্জন বাস্তবতায় রুপ নেয়নি।

নতুন করে শোনা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী এবং বাজেট অধিবেশন বা পরপরই মন্ত্রিসভার একটা রদবদল করবেন যেখানে আরো নতুন কিছু মন্ত্রী অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে। একাধিক সূত্র বলছে যে, মন্ত্রণালয়গুলোর কাজের গতিবৃদ্ধি এবং তরুণদেরকে উৎসাহিত করার জন্য মন্ত্রিসভার অবয়ব বাড়তে পারে। আরও কয়েকজন মন্ত্রী নতুন করে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। তবে কারা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন সে ব্যাপারে কোনো সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,মন্ত্রিসভার রদবদল প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী কাকে মন্ত্রিত্ব দিবেন, কাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিবেন এটা একান্তই তার বিষয়। তবে তিনি এটাও বলেছেন যে, মন্ত্রিসভার রদবদল সরকারের একটি রুটিন কাজ। কবে নাগাদ মন্ত্রিসভার রদবদল হবে এরকম কোনো তথ্য কারও কাছেই নেই। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার কলেবর বৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপচারিতা করছেন। এই মন্ত্রিসভার রদবদলে শরীকদের অন্তর্ভুক্তি থাকবে কিনা সে ব্যাপারেও কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে যে, আওয়ামী লীগ এবার মন্ত্রিসভায় একলা চলো নীতিই অনুসুরণ করে চলছে। মন্তিসভায় দলীয় লোকজনকেই অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তবে মন্ত্রিসভায় চৌদ্দদলীয় জোট বা অন্যকোন শরীক থেকে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা খুবই কম। একটি সূত্র বলছে যে, ৩০শে জুন বাজেটের পরপরই হয়তো মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে এবং প্রধানমন্ত্রী তার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। তবে কবে মন্ত্রিসভার রদবদল হবে সে ব্যাপারে কোনো সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।