যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়েএদেশ স্বাধীন করেছে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

খোরশেদ  আলম,  সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি:
   বাঙালি জাতির গৌরব গাঁথা স্বাধীনতার প্রথম ধাপ ২৬ মার্চ। এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ডাক। এর পর থেকেই পরাধীনতার শিকল ছিন্ন করার লক্ষে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে বীর বাঙালি।
 তাই দিনটি মহান স্বাধীনতা দিবস হিসাবে সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। তাই তো জাতীয় স্মৃতিসৌধে লক্ষ জনতার ঢল।
মুক্তিযোদ্ধাদের বেদিতে ফুল দিতে এসে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আশুলিয়া থানার সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বলেন, দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে  যারা এনেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকবে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।
 যারা ঢেলে দিয়েছেন বুকের তাজা রক্ত তাদের আজ শ্রদ্ধা জানানোর একান্ত প্রয়োজন আমি মনে করি।
দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে যারা ঢেলে দিয়েছেন বুকের তাজা রক্ত তাদের আজ শ্রদ্ধা জানানোর দিন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকে স্মৃতিসৌধে ঢল নামে সাধারন মানুষের।
শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, একের পর এক রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারি, শ্রমিকসহ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। সকালে সাধারন জনগনের ভীড় একটু কম থাকলেও বেলা গড়ার সাথে সাথে জনসমুদ্রে পরিনত হয় পুরো সৌধ প্রাঙ্গন।
 জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এসেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক শহিদুল ইসলাম  তিনি  বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের গৌরবের দিন। এই দিন থেকেই আমাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ৩০ লাখ বাংলা মায়ের দামাল ছেলে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সেই যুদ্ধের ইতিহাস আমি আমার সন্তানকে জানাতে সৌধ প্রাঙ্গনে এসেছি। আমি মনে করি শিশুদের শিশুকাল থেকেই স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানোর দরকার।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা পোশাক শ্রমিক সুলতানা বলেন, স্মৃতিসৌধে এবারও অনেক মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। রীতিমত মানব স্রোতে পরিনত হয়েছে। তবে অন্যান্যবারের ছেয়ে এবার তুলনামূলক কম মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। তবে বিকেলে আরও বাড়তে পারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢল।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা উপসহকারি-প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ উম্মুক্ত করা হয় সাধারন মানুষের জন্য। এরপরই নামে মানুষের ঢল। তবে বিকেলে মানুষের চাপ আরও বাড়তে পারে। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।