যানজটে আটকা পড়ার ভয়ে নৌপথে ঢাকায় যাচ্ছে কোরবানির গরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে এ বছর ৪০ হাজার ষাঁড় গরু ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পশুর হাটে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। এর সিংহভাগ নৌপথে যাচ্ছে। নৌপথে গরু পরিবহণ খরচ অনেক কম, যানজটে আটকা পড়ার ভয় নেই, দ্রুত সময়ের মধ্যে হাটে পৌঁছানো যায়। এসব কারণে ব্যবসায়ী ও খামারিরা নৌপথে গরু পরিবহণে স্বস্তি বোধ করেন। ফলে গত কয়েকদিন ধরে শাহজাদপুর থেকে নৌপথে গরু পরিবহণ শুরু হয়েছে। তবে নৌপথে গরু পরিবহনে ডাকাতের আক্রমণের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মোল্লা ফকির চান জানান, শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের বাড়িতে কোরবানি উপলক্ষে ২/৪টি করে ষাঁড় বা বলদ গরু লালন পালন করে হৃষ্টপুষ্ট করা হয়। এসব গরু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সিংহ ভাগ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন বড় বড় কোরবানির পশুর হাটে নিয়ে বিক্রি করা হয়।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, এ বছর ঈদুল আযহা উপলক্ষে শাহজাদপুরে ৬০ হাজার ষাঁড় ও বলদ গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪০ হাজার গরু নৌপথে বিভিন্ন বড় বড় হাটে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। নৌপথে কোরবানির গরু পরিবহণে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তারপরও পথে কোনও সমস্যা হলে ব্যবসায়ীদের আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা জানান, নৌপথে যেনও কোরবানির গরু নির্বিঘ্নে ব্যবসায়ীরা নিয়ে যেতে পারে সে জন্য সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।