যশোর -খুলনা সড়ক পূনঃনির্মাণের কাজ ন্দ্রত এগিয়ে চলছে সমৃদ্ধি হবে ভারত, নেপাল, ভূটান সহ বাংলাদেশ

ক্রাইম রিপোর্টার(,উৎপল ঘোষ,যশোর) ঐতিহ্যবাহী যশোর -খুলনা সড়কে উন্নয়ন কাজ চলছে।রাস্তার উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘তমা কনস্ট্রশন’ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যে দিবারাত্র কাজ করে চলেছে।প্রতিষ্ঠানটি গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে দূর্যোগ পৃর্ণ আবহাওয়ার বৃদ্ধির কারণে কর্দমাক্ত হয়ে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার কারণে যেমন হয়েছিল জনভোগান্তি অন্যদিকে কাজেরও ভোগান্তি হয়েছিল।
দেশের দক্ষিণঞ্চলে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক।রাজধানীসহ দেশের উত্তরাঞ্চল এবং নেপাল,ভূটান ও ভারতে বিভিন্ন রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি।মোংলা ও পায়রা নদী বন্দর যাতায়াতের প্রধান সড়ক।প্রতি বছর প্রায় শতাধিক দেশি-বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে আসে।দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এ সড়কটিতে বড় বড় ঘানা গর্ত সৃষ্ঠি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল।মিডিয়াতে রাস্তা নিয়ে অনেক প্রতিবেদন ফলাওভাবে প্রকাশিত হলে বিষয়টি সরকারের দৃষ্টি গোচর হলে আমলে নেন।সড়কের অর্থ বরাদ্দ হয়।গত বছর টেণ্ডারে ‘তমা কনস্ট্রাকশন’পূনঃনির্মাণের টেণ্ডারে কাজটি পায়।সড়কের উভয় পাশে ৬ ফুট প্রশস্থ করে কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে,নদী পথের পাশাপাশি সড়ক ও রেলপথ মোংলা পর্যন্ত নির্মাণ করবে সরকার।সে মোতাবেক কাজ চলছে ন্দ্রুত। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ব্যাপক অর্থনৈতিক লাভ করবে।জনশ্রুতি আছে অখণ্ড ভারত মহাদেশের দক্ষিণবঙ্গ অভিযানে এসেছিলেন খান জাহান আলী।তিনি লক্ষ্য করেছিলেন, এতদঞ্চলের মানুষের প্রান্তিক মানুষের দুঃখ কষ্ঠের একমাত্র কারণ সুপেয় পানি ও রাস্তা ঘাট।এ লক্ষ্যে তিনি ভারতবর্ষের কোলকাতা থেকে খুলনা -বাগেরহাট
পর্যন্ত অভিযানকালে প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করার পাশাপাশি অসংখ্য দিঘী,খাল,পুকুর খনন করেছিলেন।স্থানে স্থানে নির্মাণ করেছিলেন পাকা স্থাপনা।যশোর বারোবাজার,অভয়নগর বাসুয়াড়ির দিঘী,ও স্থাপনা ঘাট কালের স্বাক্ষী।পরবর্তীতে ১৮ দশকের প্রথম ভাগে কোলকাতা খুলনা এবং যশোর ইশ্বরদী পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ করেন ইংরেজ ইষ্ঠ ইণ্ডিয়া কোম্পানি।তাদের আমলে নির্মিত হয়েছিল প্রমত্তা পদ্মানদীর উপরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে নবাব সিরাজ -উ-দৌলাকে হত্যা করে ইষ্ঠ ইণ্ডিয়া কোম্পানি রাজ্যগুলো শাসন ক্ষমতা দখল করে।পরবর্তীতে ইষ্ঠ ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসন অবসান হয়।বৃটিশ রানী শাসন ক্ষমতা হাতে তুলে নেন।১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসনের অবসান হয়।১৮দশকের শেষে খুলনা -কোলকাতা কয়লার ইঞ্জিন চালু ছিল।জমিদার আমলে কোলকাতা, খুলনা – যশোর অভয়নগরের বাঘুটিয়ার জমিদার কালি পদ বাবু সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন।যশোর অভয়নগের বাঘুটিয়ার বাবু কালি পদ ঘোষের কথা উল্লেখ না করলেই নয়।কারণ তিনি আজ নেই কিন্তুু তার স্মৃতিগুলো আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে।যশোরের সদর হাসপাতাল,কোলকাতা যশোর রোড কালি বাবু রোড নামে আজও পরিচিত।বাঘুটিয়ার ঘোষ বংশের কথাই তিনি ভাবেননি। তিনি অত্র অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যশোরের তালতলা ষ্টেশন ও হাট চালু করেছিলেন।এই অঞ্চলের মানুষ তখন কোলকাতায় চাকরি করতেন।তখন কোন ভালো রাস্তা ছিল না।
পাকিস্তান সরকারের ষাট দশকে যশোর -খুলনা ভায়া বেনাপোল পর্যন্ত আলোচিত রাস্তা চুন,সুরকি ও সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছিল। তৎকালীন সওজ বিভাগে কর্মচারীরা রাস্তার উভয় পাশে আম,সিরিস মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন ও সড়ক মেরামত রক্ষানাবেক্ষনের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমানে সড়ক পূনঃনির্মাণ কালে যে সব গাছ কর্তন করা হয়েছে এই গাছগুলোই পঞ্চাশ ও ষাট দশকে লাগানো।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘তমা কন্ট্রাকশন ‘১৯ কিঃমিঃ রাস্তার কাজ ২০১৯সালের মধ্যে শেষ করবেন বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছেন।বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে,নেপাল,ভূটান ও ভারতে অনেক রাজ্য আছে তাদের সমুদ্র বন্দর নেই।মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহারে একমাত্র আলোচিত এই সড়কটি রেলপথ পূনঃ চালু হলে অনায়াসে দেশা-বিদেশী পণ্য আমদানি রপ্তানি পরিবহন ব্যয় অনেকাংশে সাশ্রয় হবে।পাশাপাশি বাংলাদেশ পাবে ব্যপক রাজস্ব।এ লক্ষ্যে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারি রেখেছেন।দক্ষিণঞ্চলের সংযোগ করতে ন্দ্রুত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি পদ্মা সেতু সহ খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত পূনঃ রেল লাইন নির্মাণের কাজ অব্যহত রয়েছে।খুলনা ও যশোর শহরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নাম খান জাহান আলী রোড নামে এখনও বিদ্যমান আছে।যা কালের স্বাক্ষী।পাকিস্তান আমলে কোলকাতা থেকে যশোর
পর্যন্ত এই সড়কের নাম ছিল কালি বাবু রোড।