মেহেরপুরের আমদাহ ও আশরাফপুর গ্রাম যেন মাদকের অভয়ারণ্য

মেহেরপুরের সদর উপজেলার আমদাহ- এবং আশরাফপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা চলার অভিযোগ রয়েছে। আর এসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের প্রকাশ্য অবাধ বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না।এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানাযায়, উপজেলার আহমদ ও গ্রামে অবাধে মাদক ব্যবসা চলে আসছে। গ্রাম দুটি মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান হওয়ায় এখানে নির্বিঘ্নে তারা প্রতিদিন বিকেল থেকে মধ্যরাত অবধি গ্রামের বিভিন্ন যাইগাই ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে চলেছে। তবে রাত বাড়তে থাকলে আমদাহ-আশরাফপুর গ্রাম মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, আমদাহ গ্রামের আতিয়ারের ছেলে আনার, খোকার ছেলে রাজ্জাক, সাফুর ছেলে মঈদুল, শাহাজামালের ছেলে জনি,বিশ্বাস পাড়ার ওসমান, মানার ছেলে মিলন,রুহুলের ছেলে শাহিন,এবং আশরাফপুর গ্রামের ফরি,সালাম,বোনো এই এলাকায় প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করছে। যা এলাকায় মাদকের হাট নামে পরিচিতি রয়েছে। ওই এলাকার মাদকসেবীরা ইয়াবা, ফেনসিডিল ও হেরোইন ক্রয় ও সেবন করছে। মাদক বিক্রেতা বা ব্যবসায়ীরা ইদানীং আমদাহ আমদাহ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে, এবং রাস্তা ঘাটে মাদক বিক্রির নিরাপদ আস্তানা গড়ে তুলেছে। আমদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম( আনার) দৈনিক এই আমার দেশকে বলেন মাদক সেবিরা এতটাই ভয়ংকর তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললে তারা আমার উপরেই আক্রমণ করবে, তারা ইউনিয়ন পরিষদের মেইন গেটের তালা ভেংগে তারা ভিতরে প্রবেশ কর, আমি তো পরিষদে তালা লাগিয়ে চলে যায় কিন্ত সকালে এসে দেখি তালা ভাংগা কি করতে পারি, আমি ১মাস আগে মেহেরপুর সদর থানার অসি সাহেব কে বিষয়টা জানিয়েছি কিন্ত জানিয়ে কোন সুরাহা পায়নি। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অসি) জুলফিকার আলি দৈনিক এই আমার দেশকে বলেন মাদক বিক্রেতা এবং মাদক সেবি যত বড়ই হোকনা কেন আইনের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না, সেখানে অলরেডি আমাদের অফিসাররা কাজ করছে তাদের গ্রেফতার করার জন্য। আমি মনে করি আজ হোক বা কাল আইনের হাতে তাদের ধরা পড়তেই হবে।