মুজিব বর্ষের উপহার একটি ঘর পেলে মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো কোটচাঁদপুরের আলমের

মুজিব বর্ষের উপহার একটি ঘর পেলে মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো কোটচাঁদপুরের আলমের

আব্দুল্লাহ বাশার (কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি)

ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলা ৪ নং বলুহর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড বিদ্যাধরপুর গ্রামের মোঃ আলম উদ্দীন, অর্থাভাবে বসতঘর তৈরী করতে না পারায় স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের মোঃ সোনা মন্ডলের ছেলে আলম উদ্দীন পৈত্রিক সম্পত্তি মাত্রই আড়াই শতক জমি আছে বলে তিনি জানান,সেখানে কোনো রকম মাথা গোঁজার জন্য তৈরী করেছেন একটি মাটির ঘর।

অর্থাভাবে বসতঘর তৈরী করতে না পারায় স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন। প্রতিবেশীরা জানান,আসলেই আলমের মতো অসহায় আর কেউ নেই।কোনরকম এই ঘরেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়েই থাকেন।

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতো মানুষের ঘর দিচ্ছে দেখছি কিন্তু এই হতভাগা কপালে কি একটা মাথা গোঁজার ঘর জোচে না।

বড় ভাই আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ৮ বছর বয়সে মা মারা যান, আমরা ২ ভাই এক বোন। আমার বাবা আমাদের ফেলে দ্বিতীয় বিয়ে করে পারলাট গ্রামে থাকেন।

জমি আছে ৫ শতক সেখানেই একটি ঘরে সুখে দুঃখে বড় হয়েছি। খুব কষ্ট করে বোনের বিবাহ দিয়েছি সে শ্বশুর বাড়িতে আমি একটা মাথা গোঁজার ঠাই করতে পেরেছি, কিন্তু ছোট ভাই পারেনি পুঁজি না থাকায় আমি একটি এনজিও থেকে কিছু টাকা নিয়ে একটি অটো ভ্যান কিনে দিয়েছি।

ভ্যান চালিয়ে কষ্ট ও পরিশ্রমে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সন্তাদের লেখাপড়া, কিস্তি দিয়ে নিজেদের দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড় করতে কষ্ট হয়ে যায়।

আলমের স্ত্রী বলেন, আমার শ্বশুরের ভিটায় মাত্র আড়াই শতক জমি পেয়েছি, আছে শুধু একটা মাটির ঘর। রোদ, বৃষ্টি, ঝড় সবই মাথার উপর দিয়ে চলে যায় এতো কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তা ভাষায় বলে বুঝাতে পারবো না।

যদি সরকারের বরাদ্দ দেওয়া মুজিব বর্ষের উপহার একটি ঘর পাওয়া যেতো, তাহলে আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই হতো। বলুহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আলমের আড়াই শতক জমি থাকলেও সেখানে আছে একটি ভাঙ্গা মাটির ঘর। অর্থাভাবে মেরামত করতে পারছেনা ।

যার কারণে মানবতার জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আমি কথা দিলাম, সরকারী বরাদ্দে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি ঘর দেওয়ার জন্য, তাহলে তার দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতো।কিন্তু বর্তমানে সে বরাদ্দ দিতে পারেনি। উপজেলা প্রশাসনে কাছে মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে দেওয়া একটি ঘর বরাদ্দ পাওয়ার আসুহস্তক্ষেপ কামনা করছে অসহায় পরিবারটি।