মুজিবনগরে ইউপি নির্বাচনী ডিউটিতে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

স্বপন আলী, গাংনী প্রতিনিধি: মুজিবনগরে নির্বাচনী ডিউটি করতে আনসার ভিডিপির সদস্যদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন কমান্ডারদের বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে বেতন ভাতা দেয়ার সময় আনসার ভিডিপি অফিসের সামনে এ অভিযোগ তুলে আন্দোলন করেন ভিডিপির ৪ ইউনিয়নের সদস্যরা। এ সময় তারা বলেন, ২য় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ডিউটি করতে ইউনিয়ন কমান্ডাররা তাদের কাছে থেকে ৫ শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা নিয়েছে। এবং টাকা না দিলে ডিউটিতে নাম দিবে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাগোয়ান ইউনিয়নের আনসার সদস্যদের মধ্যে চন্দনসহ আরো সদস্যরা জানান, আমাদের ইউনিয়ন দলনেতা আবুল কাশেম নির্বাচনী ডিউটি করানোর জন্য আমাদের কাছ থেকে ৫ শত টাকা নিয়েছে। এরকম ভাবে একই অভিযোগ তুলে মহাজনপুর ইউনিয়নের আনসার ভিডিপি সদস্য সারুখ হোসেন,সাইদুর রহমান,আরিফুল ইসলাম, মোমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে থেকে নির্বাচনী ডিউটির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের ইউনিয়ন দলনেতা সেফাউল ইসলাম ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দেবে বলে ৭০০ টাকা করে নিয়েছে।
এদিকে মোনাখালী ইউনিয়নের রশিকপুর গ্রামের বাদল শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দলনেতা ফয়সাল মাহমুদ আমাদের সাথে নির্বাচনী ডিউটি দিতে টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন টাকা দিতে যেয়ে মাত্র ২১০০ টাকা করে আমরা পাচ্ছি। দুপুরে খাবার দেবার কথা থাকলেও সেটা দেয়নি। আমরা ৫ দিন ডিউটি করে ৫ শত থেকে ১ হাজার টাকা দিয়েছি। এবং দুপুরের খাবার সহ অন্যান্য খরচে আরও ৩ থেকে ৪ শত টাকা খরচ হয়েছে। এখন এই কয়টা টাকা দিলে আমাদের কিভাবে পুষাবে। একজন মানুষ মাঠে কাজে গেলেও তো দিন ৫ শত টাকা আয় করে।
এ বিষয়ে বাগোয়ান ইউনিয়ন কমান্ডার আবুল কাশেম টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি ৫ শত থেকে ১ হাজার টাকা নিইনি তবে কাগজ ঠিক করতে ২ শত থেকে ৩ শত করে টাকা নিয়েছি। এত টাকা একটা কাগজ ঠিক করতে খরচ হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাগজ ঠিক করে বাকি যে টাকাটা অবশিষ্ট ছিল এটা সকলের পকেটে গিয়েছে।
তবে মোনাখালী ইউনীয়ন দলনেতা ফয়সাল মাহামুদ টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, যারা আমার নামে টাকা নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ করছে তারা কেউ মোনাখালী ইউনিয়নের না। আমি তাদের কাউকে চিনি না। যদি কেউ প্রমান করতে পারে আমি টাকা নিয়েছি তাহলে আমি চাকরি ছেড়ে দিবো।
এদিকে মৃজিবনগর উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মিরাজুল ইসলাম জানান, আমি নির্বাচনী ব্রিফিং এর দিন সকলকে বলেছিলাম, ডিউটি করানোর জন্য কেউ যদি আপনাদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে আমাকে বলেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো। কিন্তু তখন কেউ মুখ খোলেনি তবে আজ বেতন নিতে এসে তারা সকলে আন্দোলন করছে যে তাদের কাছ থেকে ইউনিয়ন দলনেতারা টাকা নিয়েছে। তবে তারা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে টাকা নেয়ার সত্যতা প্রমান করে আইনের সর্বচ্চ শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে।