মিয়ানমার থেকে আসছে হাজার হাজার গরু-মহিষ

প্রতিনিধি, কক্সবাজার: পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক গরু-মহিষ আসছে। সোমবার রাত নাগাদ নৌপথে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে নেমেছে প্রায় ১০ হাজার গরু-মহিষ।

শুক্র ও শনিবারে আসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পশু। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাঝে কিছু সময় বন্ধ থাকলেও আবার পুরোদমে গরু-মহিষ আমদানি শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- মঙ্গলবার বিকাল নাগাদ গরু-মহিষ আসবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার ১৩টি ট্রলারে করে সাগর পাড়ি দিয়ে দুই হাজার ১৭০টি গবাদিপশু এসে পৌঁছে শাহপরীর দ্বীপে। এখন পর্যন্ত একদিনে এটিই সর্বোচ্চ পরিমাণে গবাদিপশু আমদানির রেকর্ড। এর আগে শুক্রবার ১১টি ট্রলারে করে আসে এক হাজার ১২৯টি গবাদিপশু।

সব মিলিয়ে চলতি মাসের শুরু থেকে শনিবার পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে নৌপথে আসা গরু-মহিষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ২২টি। এসব পশু আমদানির বিপরীতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪৫ লাখ ১১ হাজার টাকা।

দেশে কুরবানির ঈদের সময় গরু-মহিষের চাহিদা বেড়ে যায়। ভারত গরু রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় মিয়ানমার থেকে গরু আমদানিতে ঝুঁকছে ব্যবসায়ীরা। অবশ্য রোহিঙ্গা সংকট না থাকলে গরু আমদানি আরো স্বাভাবিক হতো এবং সংখ্যাও বাড়তো।

টেকনাফ পৌর এলাকার দুই ব্যবসায়ী জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে কুরবানির আগ পর্যন্ত আরো অনেক পশু আমদানি করা সম্ভব হবে। মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি ও ক্রয়-বিক্রয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

টেকনাফ শুল্ক স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করে শাহপরীর দ্বীপ করিডোর সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে বেশ বড় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অতিক্রম করা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোরটি শুল্ক স্টেশনের আওতাধীন একটি রাজস্ব জোন। মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গবাদিপশু আনা বন্ধ করতে ২০০৩ সালের ২৫ মে এ করিডোর চালু করা হয়।