মানিকছড়িতে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ সালাউদ্দিন:-খাগড়াছড়িট মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে জবর-দখল করে রাখা ৫ একর পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা সদরের ফুড হাউজ রেস্টুরেন্টের সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৈত্রিক সম্পত্তি সূত্রে মালিক হওয়া তানজিলা আক্তার। এ সময় তার ছোট ভাই মো. আবুল হোসেন ও মা রোকেয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে তানজিলা আক্তার বলেন, ‘১৯৮০-৮১ সালের কবুলিয়তমূলে আমার পিতা মৃত আবুল কাশেম উপজেলার তিনটহরী এলাকার ২০৮নং মানিকছড়ি মৌজার ৩৬২নং হোল্ডিংয়ের ৫ একর সম্পত্তির মালিক থাকাকালিন ২০০২ সালের ১২ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তখন আমি এবং আমার একমাত্র ছোটভাই নাবালক ছিলাম। পিতার মৃত্যুর পরও আমরা সেখানে দীর্ঘ ৫ বছর বসবাস করি।

পিতাকে হারিয়ে অভিভাবক শূণ্য হওয়ায় উক্ত ভূমি দেখাশুনার জন্য একজন পাহাড়াদার রেখে তিনটহরী বাজারের পূর্বপার্শে গৃহ নির্মাণ করে বসবাস শুরু করি। তারপরও পৈত্রিক সম্পত্তি আমার মা ও আমরা দুভাইবোন যাওযা-আসার মাধ্যমে দেখাশুনা করছি।

পরে আমার ফুফা মিজানুর রহমানকে উক্ত ভূমি দেখাশুনার দায়িত্বে দেয়ার পর থেকে কাজল শীল ও মানিক নামের একটি চক্র ভূমি ক্রয় করতে একাধিকরার প্রস্তাব দেয়। এতে আমরা দ্বিমত পোষণ করলে তারা নানা ভাবে আমাদের সম্পত্তি জবর-দখল করা ও আমাদেরকে ঘরের মধ্যে পুড়িয়ে মারার হুমকি প্রদর্শন করেন।

নিরুপায় হয়ে আমরা মানিকছড়ি থানায় একটি অভিযোগ করেও কোনো সুরহা পাইনি। যার ফলে গেল বছরের ২৮ আগস্ট খাগড়াছড়ি বিজ্ঞ আদালতে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ আদালতে মামলার হাজিরা দিতে গেলে বিবাদীগণ আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে জবর-দখলের উদ্দেশ্য করে সেখানে একটি অস্থায়ী মন্দির স্থাপন করেন।

বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলাকালিন সময়ে বিবাদীগণ উক্ত ভূমিতে অস্থায়ী মন্দির স্থাপন করার বিষয়টি মানিকছড়ি থানা পুলিশকে অবগত করলেও কোনো সুরহা পাওয়া যায়নি’।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে উক্ত ভূমি ছেড়ে চলে যেতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে কাজল শীল ও মানিক(গং) রা। সেই সাথে কোথাও কোনো অভিযোগ না করার জন্য হুমকি দিয়ে চলেছে।

বর্তমানে আমি, আমার ছোট ভাই ও মা প্রাণ নাশের সংকায় রয়েছি। এমতাবস্থায় পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি’।