মাধবপুরে ১৪ দিন ধরে চা উৎপাদন বন্ধ

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বৈকন্ঠপুর চা-বাগান ব্যবস্থাপক ও শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে ১৪দিন ধরে চা-উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। চা-বাগান বন্ধ থাকায় ৪৪০জন চা শ্রমিক পড়েছে বিপাকে। প্রতিদিনেই বাগান খুলে দেয়া ও চা-শ্রমিকদের রেশন দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে চা শ্রমিকরা জানা যায়-বৈকন্ঠপুর চা-বাগানের চা শ্রমিক দিলীপ কেউট শ্রম আইন লংগন করে ক্ষেত লেনে ঘর নির্মাণ করে। এ নিয়ে শ্রমিক ও বাগান কর্তৃপক্ষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। ৭ ডিসেম্বর চা শ্রমিক বাগান কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা বৈঠক বসে।

সেখানে কিছু সংখ্যক শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক সামসুল হক ভূইয়া ও ডেপুটি ম্যানেজার মহিউদ্দিন কে শাররীক ভাবে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ৮ ডিসেম্বর বাগানের মালিক পক্ষ চা-বাগান অনির্দিষ্ট কালের জন্য লে আইট ঘোষনা করে এর পর থেকে বাগানে শ্রমিকরা বাগান খুলে দেয়া ও নিয়মিত রেশন দেয়ার দাবিতে প্রতিদিন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। এছাড়া শ্রমিকদের পক্ষে বিভাগীয় উপ-পরিচালক শ্রম দপ্তর, জেলা প্রশাসক ও মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে স্বারক লিপি দিয়েছে।

এ ব্যাপারে চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক খোকন চৌহান বলেন এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মালিক পক্ষ হঠাৎ করে বাগান বন্ধ করে দেয়। এতে করে চা-বাগানের ৪৪০জন শ্রমিকের কাজ না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। দোষ করলে ৩/৪জন শ্রমিক করছে সকল শ্রমিক তো করেনি

বৈকন্ঠপুর চা-বাগানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক সামসুল হক ভূইয়া বলেন একটি সমঝোতা বৈঠকে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ম্যানেজার ও তার স্টাফদের গায়ে হাত দেয়। বিষয়টি মালিক পক্ষ অবগত হয়ে বাগান বন্ধ করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান মহোদয়ের সঙ্গে মালিক পক্ষের কথা হয়েছে। এব বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার কথা রয়েছে

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান-এ দ্বন্দ নিরসনের জন্য বাগান কতৃপক্ষের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হচ্ছে থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান-বাগানে যাতে কোন ধরনের বিশৃংখলা না সৃষ্টি হয় সে জন্য পুলিশ সর্তক রয়েছে।