মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, ছিনিয়ে নেয়া হয় জমির মূল নথি, হামলায় নারীসহ আহত ৯

রোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুর সদর উপজেলায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে নারী সহ ৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ছিনিয়ে নেয়া হয় জায়গা-জমির মূল নথি এবং টাকা পয়সা ও স্বর্নালঙ্কার।

গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের কালাইমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় , কালাইমারা গ্রামের জাকির বয়তীর (৫৫) সঙ্গে পাশের বাড়ির হেলাল উদ্দিন বয়াতীর (৭০) জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। জাকির বয়াতী ও তার লোক জন হেলাল উদ্দিন বয়াতীর জমি জোর পূর্বক দখল নেয়া চেষ্টা করছিলেন। তাই হেলাল উদ্দিন বয়াতী কোর্টে একটি ১৪৪ ধারা আইনে একটি মামালা করেণ। পরবর্তীতে আদালত উক্ত মামলার শান্তিপূর্ন তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য এসি ল্যান্ড মাদারীপুর সদরকে নির্দেশ প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে এসি ল্যান্ড উভয়পক্ষকে জমির মূল নথি সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে বলেন। পরে হেলাল উদ্দিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থেকে এসি ল্যান্ডকে দেখায়। কিন্তু জাকির বয়াতী কোন কাগজপত্র দেখাতে পারননি। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির বয়াতী ও তার লোকজন হেলাল উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। সেসময় জায়গা-জমির মূল নথি এবং টাকা পয়সা ও স্বর্নালঙ্কার তারা ছিনিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন বয়াতী বলেন, জমিডা আমার বাপ দাদার সম্পত্তি, পরে সেইডা নিলাম হইয়া গেলে আমি নিলাম ধইরা আনছি। তারপরেও আমার জমি জোর কইরা দখল করছে জাকির বয়াতী, কালু বয়াতী ওরা। আমি সেইজন্য কোর্টে মামলা করছি। আজ জমির তদন্তে আসে এসিল্যান্ড। আমি আমার কাগজ তাদের দেহাইছি। কিন্তু তারা যাইতে না যাইতেই আমার হাত থেকে কাগজ ছিনাইয়া লইয়া যায় জাকির বয়াতীরা আমি বাধা দিতে গেলে আমারে মারে, পরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে বাচাইতে আইলে সবাইকে দা দিয়া কোপায়। এ সময় আমার স্তী ও পুত্র বধু সহ ৯ জন গুরুতর আহত হই। আমি এর বিচার চাই।

হেলাল উদ্দিন রয়াতীর মেয়ে রহিমা আক্তার বলেন, আমার আম্মায় ও আমার ভাইরা যখন অসুস্থ হইয়া পড়ে তাদের নিয়া আমরা অটোতে করে হাসপাতালে আইতে ছিলাম, সেই অবস্থায় ওরা আবার সামনে আইসা অটো ভাংচুর করছে। আমাগো হাসপাতালে আইতে দিবো না। পরে আমরা কালকিনি ঘুইরা সদরে আইছি এতে আমাগো অনেক ক্ষতি হইয়া গেছে অনেক রক্ত পড়ছে।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা এ ঘটনায় থানার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।