মাদরাসা খেকো মইনুল

তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃরাজশাহীর তানোরে যুবলীগের  এক নেতার বিরুদ্ধে  কৌশলে মাদরাসা বন্ধ করে জমিসহ টিআর প্রকল্পের ১০ মেট্রিক টন চাউল ও করোনায় মানবিক অনুদানের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।  অভিযুক্তের নাম মইনুদ্দিন ওরফে মইনুল ইসলাম। তিনি ভাগনা গ্রামের হযরত আলীর পুত্র উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক ও ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয়রা এই ঘটনার নাম দিয়েছে মাদরাসা খেকো মইনুল। তানোরের সরনজাই ইউপির ভাগনা গ্রামে চাঞ্চল্যর এই ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সরনজাই ইউনিয়নের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আজিমুদ্দীন বাদি হয়ে মইনুদ্দিনকে বিবাদী করে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

চলতি বছরের ৫ নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার সরেজমিন  দেখা গেছে, ভাগনা গ্রামের ফসলী মাঠের মধ্যে সাত কক্ষ বিশিষ্ট মাদরাসা ভবনটি ভগ্নদশায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে।চারিদেকে ময়লা আবর্জনা ও ঘরের চালার টিন উড়ে গেছে। তবে, এই মাদরাসা পুনরায় চালু করা সম্ভব।

এ সময় কথা হয় মাদসার সংলগ্ন বাড়ির আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে তিনি বলেন, এক সময় মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর ছিলো। কিন্তু গত প্রায় ৪ বছর ধরে  বন্ধ হয়ে আছে। তিনি বলেন, মাদরাসার সভাপতি মইনুদ্দিন মাদরাসার প্রায় ৫ বিঘা দখল টিআর প্রকল্পের ১০মেট্রিক টন চাউল আত্নসাৎ করেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা গ্রামবাসী হিসাব চেয়ে মিটিং ডাকা হলে মইনুউদ্দিন মিটিং এ উপস্থিত হননি।

জানা গেছে, তানোরের সরনজাই ইউনিয়নের (ইউপি) মানিককন্যা   ও ভাগনা গ্রামবাসীর উদ্যোগে ভাগনা গ্রামের ফসলের মাঠে ১৯৯৯ সালে মনিককন্যা ভাগনা দাখিল মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়। মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে বিধি মোতাবেক শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত ছিলো মাদরাসা চত্বর। এই অবস্থায় এলাকাবাসী স্ব-উদ্যোগে মাদরাসার নামে এক একর ৪০ শতক জমি দান করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ২০১৪ সালে মাদরাসার পুরো কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।দিকে  ভাগনা গ্রামের হযরতুল্লার পুত্র মইনুদ্দীন নিজেকে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি দাবি করে জমি দখল ও টিআর প্রকল্পের চাল আত্নসাৎ করেছে। গত চার বছরের জমি লীজ দেয়া টাকার পরিমান ৫ লাখ এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ১০ টন দাম প্রায় ৩ লাখ টাকা।

এবিষয়ে মাদরাসার সুপার নুরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা এমপিও না হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা মাদ্রাসায় না আসায় মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, সভাপতি মইনুউদ্দিন কি করেছে, কি করছে আমি জানিনা। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মাদ্রাসার জমিসহ বিভিন্ন দান অনুদানের টাকার হিসাব সভাপতি মইনুউদ্দিন কাউকেই না দেয়ায় মাদ্রাসা বন্ধ হয়েছে।  এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এধরনের অভিযোগ এখনো পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#