মহান স্বাধীনতা দিবসে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার : ৩৮ টি বীর নিবাস তৈরি হবে


পত্রিকার পাতায় নিউজটি পড়তে ছবি উপর ক্লিক করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বত্র বিনম্র শ্রদ্ধার মধ্যে দিয়ে ৫১তম মহান স্বাধীনতা দিবস এবং জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে শনিবার সকাল ৬ টায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। পরে স্থানীয় শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সকাল ৮ টায় পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা কালেক্টরেট চত্বরে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক , বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মেজর (অব.) খোন্দকার সাইদুর রহমান বীর প্রতীক ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের মহান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সদর উপজেলার ১৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে নগদ অর্থ ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় । উপস্থিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার পরিবেশন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রথম পর্বে ৩৮ টি বীর নিবাস তৈরি হবে । সেঠি যেন সঠিকভাবে তৈরি হয় আমরা দেখবো। । তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের নিজস্ব লোক মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা বক্তব্য রেকর্ড করবে। যেটি সকল টেলিভিশন মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা ভিডিওসম্প্রচার করবে ।

এদিকে হাসপাতাল,কারাগার,শিশু পরিবার,সমন্বিত দৃস্টি প্রতীবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করে। এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে দোয়া এবং মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয় । তাছাড়া অন্যান্য উপজেলা গুলোতে একই অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে |