‘মসজিদ নির্মাণের অনুমতি ছিলো কিনা তদন্ত করে দেখা হবে’

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গ্যাস পাইপলাইনের ওপর মসজিদ নির্মাণে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছিলো কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মসজিদটিতে ছয়টি এসি লাগানো ছিলো। আবার গ্যাসের লাইনের ওপরেই নাকি মসজিদটির নির্মাণ। সাধারণত যেখানে কোনো গ্যাসের পাইপলাইন থাকে, সেখানে কোনো নির্মাণকাজ হয় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না কর্তৃপক্ষ এটার পারমিশন (অনুমতি) দিয়েছে কিনা। এই পারমিশন তো দিতে পারে না, দেয়া উচিত না। কারণ এটা সবসময় আশঙ্কাজনক থাকে। সেটাই এখন তদন্ত করে দেখা হবে।’তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে কিছু করতে গেলে, একটা দুর্ঘটনা অবশ্যই ঘটতে পারে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খুঁজে বের করতে বলেছি।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে যারা অপরিকল্পিতভাবে ইচ্ছেমতো এয়ারকন্ডিশন লাগাচ্ছে বা যেখানে-সেখানে একটা মসজিদ গড়ে তুলছে, সে জায়গাটা আদৌ একটা স্থাপনা করার মতো জায়গা কিনা বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি এবং নকশা মেনে করা হয়েছে কিনা সে বিষয়গুলো দেখা একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায় এ ধরনের দুর্ঘটনা যে কোনো সময় ঘটতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা সেখানে গেছেন, নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এ ঘটনা কেন এবং কীভাবে ঘটল সেটার তদন্ত হচ্ছে।’তিনি বলেন, ‘বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে আমার সকাল-বিকেল মোবাইলে যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের অবস্থা জানাচ্ছেন। অনেকেরই পোড়ার ধরন অনেক খারাপ পর্যায়ে। তার পরও সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছি। আল্লাহ যদি এদের জীবনটা দিয়ে দেন।’

এদিকে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও দুই শিশু রয়েছে। দগ্ধ বাকি ১৩ জনের অবস্থাও সংকটাপন্ন।