মন্ত্রীদের চেয়ে ক্ষমতাবান যেসব এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদীয় গণতন্ত্রের সরকারে নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে ক্ষমতাবান। তারপরেই ক্ষমতাবান হন মন্ত্রী বা উপদেষ্টারা। কিন্তু বর্তমান সংসদে এমন কয়েকজন এমপি আছেন, যারা মন্ত্রীদের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান। মন্ত্রীদের চেয়েও বেশি তাঁরা সম্মানিত হন। তারা কোথাও কোন অনুরোধ করলে কেউ উপক্ষো করতে পারেন না। এদেরকে বলা হয় ক্ষমতাবান এমপি। এদের সরকারে কোন পদ-পদবি নেই। তারা নিজেরাই একটা করে ব্রান্ড, একেকটা প্রতিষ্ঠান। যে কারণে অনেকেই মনে করেন তাদের গুরুত্ব, মন্ত্রীদের চেয়ে বেশি।

শেখ হেলাল: তিনি বাগেরহাটের এমপি এবং প্রধানমন্ত্রীর নিকাটাত্নীয়। বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের এর পুত্র। তিনি বহুবার এমপি হলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রী বা সরকারের কোন দায়িত্ব পালন করেনি। সরকারের দায়িত্ব পালন না করলেও তিনি অত্যান্ত ক্ষমতাবান এবং তাঁর কোন পরামর্শ বা তার কোন উপদেশ অনেক মন্ত্রণালয়ের জন্য শিরোধার্য। মন্ত্রণালয় তার সম্মান রক্ষার্থে চেষ্টা করে। তিনি মন্ত্রীদের কাছেও অনেক সম্মানিত। বলা হয় তিনি যেকোন মন্ত্রীর চেয়ে ক্ষমতাবান।

নাজমুল হাসান পাপন : তিনি শুধুমাত্র একজন সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবেও আলোচনায় থাকেন। কিন্তু তিনি কোন মন্ত্রী নন, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কোন উপদেষ্টাও নন। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁর বাবা প্রয়াত জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের দু:সময়ের কান্ডারি। রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পাপন সরকারের অত্যান্ত ক্ষমতাবান ব্যাক্তি। অনেকেই বলেন, অনেক মন্ত্রীর চেয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ। পাপন যখন কাউকে কোন অনুরোধ করেন বা কোন বিষয়ে পরামর্শ দেন, সেই পরামর্শ তাদের জন্য শিরোধার্য হয়ে উঠে। কারণ তারা সবাই পাপনকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন।

শেখ ফজলে নূর তাপস: তৃতীয়বারের মত এবার এমপি হয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে। তাঁর চেয়েও বড় পরিচয় হলো তিনি আওয়ামী লীগের দু:সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইনজীবি হিসেবে সকলের নজর কেড়েছেন। তিনি মূলত আইনপেশায় নিয়োজিত থাকলেও তাপস কোন মতামত দিলে তা উপেক্ষা করা যে কারো জন্য কঠিন হয়। তাকে সবাই সম্মানের চোখে দেখেন। তিনিও অনেক মন্ত্রীর চেয়ে ক্ষমতাবান।

শামিম ওসমান: নারায়নগঞ্জ থেকে নির্বাচিত এমপি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। তাকে নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। কিন্তু তিনি যখন কোন বিষয়ে কাউকে অনুরোধ করেন বা কাউকে কোন কিছু করার জন্য প্রস্তাব করে। সেটাকে উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পরে। শামিম ওসমানকে সবাই আওয়ামী লীগের দু:সময়ের সাথী মনে করেন। এবং একজন চিরায়াত আওয়ামী লীগার মনে করা হয়। তার অনুরোধ উপেক্ষা করা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পরে। অনেকেই বলেন যে, যে কোন মন্ত্রীরা যে কাজ পারেন না, সে কাজ শামীম ওসমানের জন্য অনেক সহজ।

আ্ওয়ামী লীগ সুত্র জানায়, তাঁরা ক্ষমতাবান হলেও দেখা যায় যে, ক্ষমতাকার্য শুধুমাত্র ভূক্তভোগি বা জনগনের কল্যানেই প্রয়োগ করেন। ভুক্তভোগি জনগনের পক্ষে তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে সবসময় কথা বলেন এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাঁরা তৎপর হন বলেও জানা যায়।