মনিরামপুরে টিকিট কেটে ছিপে মাছ ধরা দেখতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়

মনিরামপুরে টিকিট কেটে ছিপে মাছ ধরা দেখতে মানুষের উপচে পড়া ভি

দেবব্রত মন্ডল, উপজেলা প্রতিনিধি  মনিরামপুর যশোরঃ- যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকড় ইউনিয়নে টিকিট কেটে ছিপে মাছ ধরার আয়োজন করেছেন ঘের মালিক মোঃ জিয়াউর রহমান তিনি অত্র অঞ্চলে মধু জিয়ার নামে পরিচিত। গত ২২ আগস্ট (সোমবার) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাছ ধরার জন্য নিজ গ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৫-৪০ জন মাছ শিকারি ১ হাঁজার টাকা টিকিট কিনে মাছ শিকার শুরু করেন। প্রতিটি টিকিটে ২টি ছিপ ব্যবহার করে মাছ ধরা যাবে বলে কতৃপক্ষ নির্দেশ করেন। এলাকায় প্রথম এ ধরনের আয়োজন করায় শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর কিশোরীরাও ঘেরের পাড়ে মাছ শিকার দেখতে ভিড় জমায়

এ সম্পর্কে ঘের মালিক জিয়াউর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে নিজেও বিভিন্ন জেলা-উপজেলাতে টিকিট কেটে মাছ ধরে বেড়ায় এটা কোন পেশা নয় এটা একটা নেশা এবার নিজেই একটি ঘের লিছ নিয়ে প্রথমবারের মত টিকিটের আয়োজন করেছি আমার ঘেরে রুই, কাতলা, মিনারকাপ, জাপানিসহ হরেক রকমের মাছ রয়েছে ৩৫-৪০ জন মাছ শিকারির কাছে টিকিট প্রতি ১ হাজার টাকা করে নিয়েছি মাছ শিকারিরা আবহাওয়া ভালো থাকার ছিপ দিয়ে বড়-বড় মাছ উঠাতে পারছে তাদের জন্য একবার খাবারেও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন আয়োজনে বেঁশ আনন্দিত এলাকার সাধারণ মানুষেরা ঘেরের চারপাশ মাছ শিকারিদের পাশাপাশি দর্শনার্তিদের ভিড় আমাকে মুগ্ধ করেছে। এমন সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকলে পরবর্তী আবারও মাছ শিকারিসহ দর্শকদের বিনোদন দিতে টিকিটের সু-ব্যবস্থা করবো।

শ্যামকুড় গ্রামের মাছ শিকারি আব্দুল্লাহ্ বলেন, আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি মাছের সাথে সম্পর্ক থাকবে না তা কি করে হয়। আমি ছোট থেকে মাছ ধরা খুব পছন্দ করি বাবার সাথে মাছ ধরতে গিয়েছি অনেক ধূর বহুদূর বাড়ির পাশে টিকিট বিক্রি করতে দেখে দু’জন মিলে একটি টিকিট নিয়েছি এবং আল্লাহ্ রহমতে ১৫ কেজি মত মাছ পেয়েছি এর মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, মিরগে, জাপানিসহ অরেক রকমের মাছ। বাড়ির পাশে এমন আয়োজনে মাছ ধরতে এসে খুব ভালো লাগছে।

ডুমুরিয়া থেকে আসা আরেক মাছ শিকারি মৌশিক বিশ্বাস বলেন, ছিপ দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদ মাছের অপেক্ষায় বসে থাকা কখন একটি ঠোঁক দিবে এবং ধরা পড়বে আমার বরশিতে আমি বিভিন্ন জায়গাতে মাছ শিকার করতে যায় মানুষের মধ্যে মাছ ধরার মজাই অন্যরকম একটি মাছ উঠালে আশে-পাশের মানুষের আনন্দ উল্লাস। সকালে এসেছি একটি টিকিট একাই কিনে আল্লাহ্ রহমতে ও আপনাদের দোয়াই ২০ কেজি মত মাছ পেয়েছি কিছু মাছ বাসায় রেখে বাকি গুলো বিক্রি করে দিবো তাতে নিজেও কিছু অর্থ উপর্জন করতে পারবো মূল্য হবে সারাদিনের শ্রমের পরবর্তী এখানে আবার টিকিট ছাড়লে আসার চেষ্টা করবো। এমন সুন্দর ভাবে সবকিছু সঠিক ভাবে আয়োজন করাই ধন্যবাদ জানাই কতৃপক্ষকে।

এ সম্পর্কে মাছ শিকার দেখতে আসা হাসানুর রহমান (১০) বলেন, আমি মাছ ধরতে পারিনা কিন্তু মাছ ধরা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। সকাল থেকে না খেয়ে ঘেরের পাশে বসে আছি টানে-টানে মাছ উঠাচ্ছেন মাছ শিকারিরা সেটা দেখে খুব ভালো লাগছে। আমার মত অনেকে দূর-দূরস্থ থেকে এসেছে মাছ ধরা দেখতে অনেক মানুষ আমি প্রথমবারের মত এমন সুন্দর দৃশ্য দেখলাম আগে শুনেছি টিকিট দিয়ে মাছ ধরা হয় আজ সরাসরি দেখলাম