মধুপুর শালবন ও বনবাসীদের অধিকার রক্ষায় আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের চিত্র ও করণীয় পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাইফুল ইসলাম : জয়েনশাহীর সভাপতি ইউজিন নকরেকের সঞ্চালনায় ও আদিবাসী ফোরামের সহ সভাপতি অজয় মৃ এর সভাপতিত্বে মধুপুর শালবন ও বনবাসীদের অধিকার রক্ষায় আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের চিত্র ও করনীয় পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যালোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলার নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অন্যান্যদের মধ্যে মধুপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, বেলার হেড অব ফোগ্রাম অফিসার মোঃ খোরশেদ আলম, আচিক মিচিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সুলেখা ম্রং, বিভাগীয় সমন্নয়কারী, বেলা টাঙ্গাইলের গৌতম চন্দ্র চন্দ, কারিতাসের ফোগ্রাম অফিসার বুলবুল মানখিন, আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনি ম্যাটিউ চিরান, বাগাছাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জন জেত্রা, জি.এস.এফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল প্রমুখ।

বেলার নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মধুপুরের ঐতিহ্যবাহী শালবন সুরক্ষা ও বনবাসীদের অধিকার নিশ্চিতকরনে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন জরুরী। প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষা ও বনে বংশ পরম্পরায় বাসকারী আদিবাসীদের জীবন, জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করন এবং ভূমির অধিকার প্রদানে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে।

মধুপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্টিনা নকরেক বলেন, বংশ পরম্পরায় যে ভূমিতে আদিবাসীরা বাস করে আসছে সে ভূমির অধিকার আইন পাশ করে নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অজয় মৃ বলেন, মধুপুরের শালবন যেমন আমাদের ঐতিহ্য তেমনি এই বনে সুদীর্ঘ কাল বাসকারী হিসেবে এই বনের অভিবাভক আদিবাসীরা। যখন এই বনে বন আইন ছিলনা তখনো এই বন কে আদিবাসীরা সুরক্ষা দিয়েছে। এখনো যেখানে আদিবাসীরা আছে সে টুকু জায়গায় অবশিষ্ট বন আছে। কাজেই আদিবাসী বনের পরীক্ষিত বন্ধু। সুতরাং প্রাকৃতিক বন ধ্বংসকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আদিবাসীদের স্বত্ত দখলীয় ভূমির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।