ভোটারদের মাঝে নগদ টাকা বিতরণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (সদর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোটারদের মাঝে নগদ টাকা বিতরণ অভিযোগ উঠেছে।

ফেনীতে নির্বাচনি আচরণবিধির তোয়াক্কা করছেন না প্রার্থী ও তার অনুসারীরা। প্রার্থীদের গণসংযোগ থেকে পোস্টারিং কিংবা মাইকিং সবক্ষেত্রেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। গণসংযোগের সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে ইসিকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তবে প্রার্থীদের দাবি তারা আচরণবিধি মেনেই গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

ফেনী জেলার ৩টি আসনে ভোটারদের মধ্যে নগদ টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে ফেনী-২ (সদর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী শর্শদী ইউনিয়নে নৌকা মার্কার সমর্থনে নোয়াবাদ, মোহাম্মদ আলী বাজার, নিমতলা, শর্শদী বাজার, আবুপুরসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা করেন। গণসংযোগ ও প্রচারণা শেষে জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের নগদ অর্থ বিলি করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান জানে আলম। এ সময় নগদ টাকা ও খাবার না পেয়ে কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জানে আলম প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বলেন, এটা তার ইউনিয়নে গরিবদের মাঝে নিয়মিত সহযোগিতার অংশ।

এদিকে রোববার সন্ধ্যায় ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামে একটি উঠান বৈঠকে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী শাহরিয়ার ইকবালের সমর্থক-ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করা হয় বলে জানা গেছে। তবে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে শাহরিয়ার ইকবাল টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। শনিবার বিকালে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের পেঁচিবাড়ীয়া গ্রামে ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানীয় চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার মুঠোবর্তী ১০০ টাকার নোট নিয়ে আগত সবাইকে টাকা বিতরণ করতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান।

এদিকে ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ ঈগল প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রতিটি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ সময় গণসংযোগ ও প্রচারণায় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক প্রত্যক্ষদর্শী জানান।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, আমরা অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে গণসংযোগ করছি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। কোনোরকম আচরণবিধি লঙ্ঘনের অবকাশ নেই। নেতাকর্মী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে বলে দিয়েছি, তারা যেন নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলেন। সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এমন নির্দেশনা দেয়া আছে। আচরণবিধি মেনেই প্রচার-প্রচারণা চলছে।