ফরিদ আহম্মেদ, সরিষাবাড়ি (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ বিদ্যুৎ যায় আর আসে না। আকাশে মেঘ ডাকলেতো কথাই নাই। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকে সরিষাবাড়ির মানুষ। রাতের বেলায়ও ৪/৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে। এত লোডশেডিংয়ের পরও ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ট মানুষ। কিছুতেই ভুতুড়ে বিল আর লোডশেডিং থেকে নিস্তার পাচ্ছে না মানুষ। এমপি মন্ত্রী চেয়ারম্যান মেম্বার কেউ এটা দেখে না। কারো কাছে প্রতিকার পাচ্ছে না ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
সরিষাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং যেন গ্রমের মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়েছে। কোনোভাবেই থামছে না পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। দিন দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে অথচো বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা করছে লোডশেডিংয়ের, এ যেন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- এখন লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। প্রতিদিনই গড়ে ১০-১২ বার করে বিদ্যুৎ যাচ্ছে।
শাহীনুর রহমান একজন ভূক্তভোগী তিনি বলেন, আগে ঘোষণা দিয়ে মাঝে মধ্যেই ৮-৫ টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখত এখন আর ঘোষণাও দেয় না। যখন তখন বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। গরমে হাসপাস করে শিশু বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণির মানুষ। রাতের ২/৩ টার সময়ও লোডশেডিং দেয়। ২/৩ ঘন্টা একটানা বিদ্যুৎ থাকে না। আর আকাশে কালো মেঘ দেখলেই লাইন বন্ধ কওে দেয়। এত লোডশেডিংয়ের পরও ভুতুরে বিলের কারণে অতিষ্ট মানুষ। দ্বিগুণ তিনগুণ বিলও কওে তারা। আগে তো এমন ছিল না। নতুন ডিজিএম আসার পরই এ অবস্থা। স্থানীয় ভূক্তভোগীরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর প্রতিকার চাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, একটি চক্র মূলত সরকারের বিরুদ্ধে মরণ খেলায় মেতেছে। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি দেশব্যাপী বিদ্যুতের সাব স্টেশনগুলোও আপগ্রেড করছে। প্রতিটি প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এর সুফল ঘরে তুলেতে পারছে না বিদ্যুতের বিতরণ কোম্পানিগুলোর দুর্নীতি, লুটপাট আর ষড়যন্ত্রের কারণে।
গত আগষ্ট মাস থেকে চলতি মাসে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে সরিষাবাড়ি পল্লী বিদ্যুতে। স্থানীয় ছবের আলী বলেন- বিদ্যুৎ চলে গেলে কখন আসবে তা কেউ জানে না। আকাশে মেঘ হলেও অনেক সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। কখনও ১৫ মিনিট আবার কখনও দু-চার ঘণ্টা। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ নাই এলো হয়তো অনেক রাতে। এইভাবেই চলছি আমরা। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে কখনো ব্যস্ত কখনো বন্ধ বলে মাঝে মধ্যে ফোন রিসিভ হলে তারা নানা রকম অজুহাত দিতে থাকে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষই শুধু ভোগান্তির শিকার হয়।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা সম্পর্কে জানতে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সরিষাবাড়ী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহা: শিফাজ উদ্দিন জানান, বিদ্যুৎ এর চাহিদার অর্ধেক সরবরাহ পাওয়ায় আমরা গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারছিনা। এছাড়া জাতীয় গ্রিডে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ হলেই আমরা বিদ্যুৎ বিতরণ সঠিকভাবে করতে পারবো।