ভূঞাপুরে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বীজতলা ও ফসলের জমি

মোঃ আল-আমিন শেখ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলে ও নিম্নাঞ্চলের সবজি খেত, বীজতলা ও ফসলি জমি। পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।

যমুনা পূর্ব পাড়ে তীররক্ষা বাঁধ না থাকায় প্রতি বছর এভাবেই বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় কৃষকের স্বপ্ন। আর এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সারা বছর জীবনের সাথে সংগ্রাম করে বাঁচতে হয় কৃষকদের। এছাড়া পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে উপজেলার হাজার হাজার পরিবার।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী কষ্টাপাড়া, বেপারী পাড়া ও ভালকুটিয়া এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে চরাঞ্চল ও ফসলের জমি। সেইসাথে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তীরবর্তী এলাকায় লোকজনের।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই যমুনার পাড় তলিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে ধান, সবজি খেত সহ বীজতলা নষ্ট করে ফেলে। এর ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে সারা বছর অনেক কষ্টে দিনকাটে আমাদের। যমুনা পূর্ব পাড়ে স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণ না করলে আমাদের এই কষ্ট দূর হবেনা। যমুনা পূর্ব পাড়ে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করলে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবো পাশাপাশি পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা খেয়ে বাঁচতে পারবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, হঠাৎ করে যমুনা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চরাঞ্চল সহ নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় ধান, সবজি খেত ও বীজতলা সহ প্রায় ১০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

আশা রাখি দুই একদিনের মধ্যেই বন্যার পানি নেমে যাবে। তবে এবারের বন্যার ফসলের তেমন ক্ষতি করতে পারবেনা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শের পাশাপাশি প্রণোদনার মাধ্যমে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহযোগীতা করবো।