ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হচ্ছেন জগদীপ ধনখড়?

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ শিবিরের তরফে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

আনন্দবাজার পত্রিকার বিশ্লেষণে বলা হয়, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সাংবিধানিক অঙ্কের বিচারে তাঁর নির্বাচন প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।

সংসদের ৭৮০টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র বিজেপির এমপি রয়েছেন ৩৯৪ জন। ফলে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে নয়াদিল্লির মৌলানা আজাদ রোডে উপরাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে ধনখড়ের প্রবেশ প্রায় অনিবার্য বলেই মনে করছেন অনেকে।

এদিকে রোববার বিকালে দিল্লিতে তাদের প্রার্থী ঠিক করতে বৈঠকে বসছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বৈঠক হবে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে যোগ দেবে না তারা। কারণ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, আগামী ২১ জুলাই সমাবেশের পর বিকালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে দলের এমপিদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে আগামী বাদল অধিবেশনে বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূলের কী ভূমিকা হবে, সেই কৌশল যেমন ঠিক করা হবে, তেমনই ঠিক করা হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের অবস্থান।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় ওই বৈঠকের কারণেই শারদের ডাকা বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল সংসদীয় দল। তৃণমূল সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে ‘মরাঠা স্ট্রং ম্যান’-এর কাছে দলের বার্তা পাঠানোও হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে প্রার্থী করেছে বিজেপি, তাই এক্ষেত্রে বুঝেশুনে পদক্ষেপ করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিংহ। তিনি তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। সে কারণে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তৃণমূলের মুখাপেক্ষী হয়েছিল বেশ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল। কিন্তু এক্ষেত্রে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান মমতা।

উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, যেহেতু দলনেত্রী এ বিষয়ে বৈঠক ডেকেছেন, তাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন।