ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ

ব্যয় কমাতে ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংকগুলোর জন্য এক বছর বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫% ও জ্বালানি খরচ ২০% হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশনস অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

অবিলম্বে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি ছয় মাসে দুই দফায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমাতে হবে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে ব্যাংকগুলো যে অর্থ সাশ্রয় করবে, তা অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবং সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৬ মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) এবং ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন) ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যয় সংকোচন নিশ্চিত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, জ্বালানির (পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস, তেল ও লুব্রিকেন্ট) জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল থেকে ন্যূনতম ২০% সঞ্চয় করতে হবে। এ জন্য চলতি বছরের বাকি ৬ মাসে ব্যয় ১০% এবং ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে ১০% ব্যয় কমাতে হবে।

একইভাবে সাশ্রয়ী হতে হবে বিদ্যুৎ খরচের ক্ষেত্রেও। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ২৫% পর্যন্ত খরচ কমাতে হবে। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের বাকি ৬ মাস এবং ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে বিদ্যুতের ব্যয় আনুপাতিক হারে কমাতে হবে। খরচ কমানোর তথ্য ও নথিগুলো ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে রাখা হবে এবং নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শকদের কাছে সরবরাহ করতে হবে।

এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় করা অর্থ ডিসেম্বর ২০২২-এর আর্থিক বিবরণীতে যোগ করা হবে এবং জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত ব্যয় করা অর্থ ডিসেম্বর ২০২৩-এর আর্থিক বিবরণীতে এসব তথ্য তুলে ধরা হবে।