ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে থাকার শপথ নিলেন একাদশ সংসদের এমপিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন মেনে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে দেশের আইনসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের শপথ নিচ্ছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সাংসদরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে এই শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতেই দশম সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী একাদশ সংসদের এমপি হিসেবে নিজের কাছে নিজে শপথ নেন। এবারের নির্বাচনেও রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

স্পিকার শপথ বাক্য পাঠ করার পর প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে উঠে হাত তালি দেন। পরে শিরীন শারমিন শপথপত্রে সই করেন।

পরে তিনি অন্যদের শপথ পড়ান। প্রথমে সংখ্যগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিক দলের কয়েকজন এমপি হিসেবে শপথ নেন।

শেখ হাসিনাসহ একাদশ সংসদের এমপিরা নিজ নিজ নাম উচ্চরণ করে স্পিকারের সঙ্গে সঙ্গে পড়তে থাকেন- “সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি যে,আমি যে কর্তব্যভার গ্রহণ করিতে যাইতেছি, তাহা আইন-অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব; আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব; এবং সংসদ-সদস্যরূপে আমার কর্তব্য পালনকে ব্যক্তিগত স্বার্থের দ্বারা প্রভাবিত হইতে দেব না।”

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত ২৯৮ জনের মধ্যে যারা এদিন উপস্থিত থাকবেন, তাদের কয়েক দফায় শপথ পড়াবেন স্পিকার। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন সংসদ সচিব জাফর আহমেদ খান।

শপথ শেষে নতুন সংসদ সদস্যরা সংসদ সচিবের কার্যালয়ের স্বাক্ষর খাতায় সই করবেন এবং একসঙ্গে তাদের ছবি তোলা হবে।

প্রথম দফার শপথে এমপিদের প্রথম সারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডান পাশে ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আর বাঁ পাশে ছিলেন সাজেদা চৌধুরী, শেখ সেলিম, ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুর রাজ্জাক।

মাশরাফি বিন মর্তুজা, শেখ তন্ময় বসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পাশে।

তবে বিএনপি ও তাদের জোট ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতদের কাউকে প্রথম দফার শপথের সময় সংসদে দেখা যায়নি।

দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, গোলযোগের কারণে একটি আসন স্থগিত রেখে সেই রাতেই ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এর মধ্যে ২৫৭টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এর বিপরীতে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের ধানের শীষের প্রার্থীরা মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হতে পেরেছে।