বিশ্বাসভঙ্গ হওয়ায় উপজেলা নির্বাচনের ভোটে সাড়া নেই: বিএনপি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সোমবার দ্বিতীয় দফা একতরফা উপজেলা নির্বাচনে জনগণ কোন সাড়া দেয়নি। কারণ মধ্যরাতে ব্যালট বাক্সভর্তি করে ক্ষমতা দখলের পর বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনকে জনগণ বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না। বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে সরকার। এই সরকার জনগণের আস্থা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। বিরোধীদল হীন একদলীয় শাসনই এই সরকারের টিকে থাকার একমাত্র ভরসা। তাই দেশকে বিরোধীদলহীন করার জন্য সরকার তার সরকারি যন্ত্রকে যত্রতত্রভাবে ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলের নিশ্চিহ্নকরণের যাবতীয় উদ্যোগ আয়োজনে কোন কমতি নেই। এখন ভোটারবিহীন উপজেলা নির্বাচনে দখলদারিত্ব নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নিজেরাই খুন-খারাপীতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রহীনতা ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণেই নির্বাচন নিয়ে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্য বেড়েই চলেছে। বিনাভোটে স্থানীয় ক্ষমতা আয়ত্বে নিতে আধিপত্যের লড়াইয়ের জন্যই নির্বাচনী দায়িত্বরত কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নারী সদস্যসহ নিহত অন্যান্যদের প্রাণ ঝরিয়ে দেওয়া হলো।

মির্জা ফখরুল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মধ্যরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন স্থানীয় পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই ক্ষমতাসীন নেতারা স্থানীয় ক্ষমতা দখল করতে হিংসা প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতায় রক্ত ঝরাচ্ছে। হিংসা বিদ্বেষ ক্ষমতাসীনদের রাজনীতির কর্মসূচি হওয়ার কারণে মানুষ হত্যার মত নারকীয় ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনপদের পর জনপদে রক্ত গঙ্গা বইছে। সরকার হুমকি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সন্ত্রাসের ব্যধিতে আক্রান্ত বাংলাদেশ। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বেআইনি সন্ত্রাসী হামলায় দলমত নির্বিশেষে যেকোন মানুষের মৃত্যুকেই আমরা ঘৃণ্য কাজ বলে মনে করি এবং এর বিরুদ্ধে সবসময় তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার। আমি মনে করি, বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্বরত ব্যক্তিদের ওপর এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ। আমি এই হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করে আশু সুস্থতা কামনা করছি। এই সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।