বিদ্রোহীদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করলেন আ’লীগ এমপি

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশনা থাকলেও ঢাকার ধামরাইয়ে তা মানা হয়নি।

দলীয় হাইকমান্ডের এ নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিলেন ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ। সেই সঙ্গে তাদেরকে নির্দেশ দিলেন তার পক্ষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে।

সোমবার বিকাল ৩টায় মুন্নো হাইওয়ে কমিউনিটি সেন্টারে এ বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। বিষয়টি জনমনে তথা দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ১১ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে ১৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন পেতে আবেদন করার সময় অঙ্গীকার নামায় আওয়ামী লীগের ৩৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী স্বাক্ষর করেন মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার। ১৫টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের মনোনীত নৌকার মাঝি নির্ধারণ কিংবা দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় ১৫ জনকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ওই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন।

এতে নৌকার মাঝিরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও ঢাকার ধামরাইয়ে এ ব্যাপারে সাংগঠনিক কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে বিদ্রোহীরা নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে উঠেন আর বিপাকে পড়ে যান দলীয় মনোনীত প্রার্থীরা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নৌকার মাঝিরা জামানত হারান ৭ ইউনিয়নে।

বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন বিদ্রোহীরা। দলীয় এ বিদ্রোহের জন্য ধামরাই সদর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ব্যাচের ছাত্র শিক্ষানুরাগী সাহাবুদ্দিন নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মশিউর রহমানের কাছে। তিনি বিজয়ী প্রার্থীর ৮ ভাগের একভাগ ভোটও পাননি।

যাদবপুর ইউনিয়নে নৌকা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ পরাজিত হন। বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম খান সেলিমের চৌহাট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে আনোয়ার শিকদার পরাজিত হন। বিজয়ী হন সাবেক চেয়ারম্যান পারভীন হাসান প্রীতি।