বাঙালি নায়িকা মিষ্টিকে চুমু খেতে যেয়ে নাজেহাল!

এই আমার দেশ ডেস্ক

তাঁর ‘দুষ্টু’ চাউনিতে নাকি বহু মেয়ে ঘায়েল। তাঁর ‘মিষ্টি’ হাসিতে নাকি বহু মেয়ের হৃদয় আলোড়িত। বলিউডের অন্দরের জল্পনা— নিজের ফিল্মের নায়িকাদের সঙ্গে ‘দুষ্টুমিষ্টি সম্পর্ক’ কার্তিক আরিয়ানের। সারা আলি খান, অনন্যা পাণ্ডে-সহ তাঁর ফিল্মের একাধিক নায়িকা তো প্রকাশ্যেই বলেছেন— কার্তিককে দেখে মন টলেছে। তবে এ সবই অস্বীকার করেছেন খোদ কার্তিক।

কার্তিক নাকি আসলে ‘চুম্বক’। সে চুম্বকের টানেই সহজে তাঁর দিকে হেলে পড়েন মেয়েরা। রসিকতা হলেও এটাই সত্যি! বলিউডের ফিল্মি পত্রিকাগুলির এমনই দাবি। বড় পর্দায় অভিষেকের স্বল্প দিনের মধ্যেই ‘লেডিস ম্যান’ বলে নাম কুড়িয়েছেন। তবে যাবতীয় জল্পনা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন কার্তিক।

কার্তিক কি চুম্বক? হেসে উড়িয়ে দিয়ে তাঁর দাবি, হাসিখুশি বলেই তাঁর সঙ্গে সহজেই বন্ধুত্ব হয়ে যায় মেয়েদের। আর শুধু মেয়েরা কেন, ছেলেরাও তো তাঁর সঙ্গে সহজেই মিশতে পারেন!

‘লেডিস ম্যান’ হিসেব তাঁর নামডাকের কথা যতই অস্বীকার করুন না কেন, একাধিক নায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে কার্তিকের। সে তালিকায় নয়া নাম আলিয়া-র। তবে আলিয়া ভট্ট নয় আলিয়া এফ। শশাঙ্ক ঘোষের ফিল্ম ‘ফ্রেডি’-তে কার্তিকের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন পূজা বেদীর মেয়ে আলিয়া। এই রোম্যান্টিক থ্রিলার এখনও মুক্তি পায়নি। তবে তার আগেই ‘পেজ থ্রি’-র পাতায় অহরহ উঠে এসেছে। সৌজন্যে আলিয়া-কার্তিক। আজকাল নাকি কার্তিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আলিয়া।

‘লুকা ছুপি’-র নায়িকা কৃতী শ্যাননের সঙ্গে কার্তিকের ‘সম্পর্ক’ নিয়েও কম কথা ছড়ায়নি। ইনস্টাগ্রামে একসঙ্গে দেখা পাওয়া যায় দু’জনের। তবে এত কিছু নাকি সব জল্পনা। কার্তিকের দাবি, তিনি মোটেও ‘লেডিস ম্যান’ নন। আর তিনি ‘চুম্বক’ও নন। লাজুক মুখে বলেন, ‘‘এটা আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। আমি নিজেকে মোটেও চুম্বক মনে করি না। এত কিছুর পরেও আমি সিঙ্গল!’’

এ হেন নামডাকের পরেই একটি ফিল্মের চুমুর দৃশ্য অভিনয়ে রীতিমতো খাবি খেয়েছিলেন কার্তিক। ক্যামেরার সামনে নায়িকাকে চুমু খেতে গিয়ে ৩৭ বার রি-টেক করেছিলেন।

ফিল্মের পর্দার জন্য আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করতে নাজেহাল হয়েছিলেন কার্তিক। কোন ফিল্ম সেটি? কার্তিক জানিয়েছেন, তা ছিল সুভাষ ঘাইয়ের শেষ ফিল্ম ‘কাঞ্চি: দি আনব্রেকেবল’।

২০১৪ সালের ওই ফিল্মে নায়িকা ছিলেন বাঙালি মেয়ে মিষ্টি। তাঁর সঙ্গে একটি আবেগঘন চুমুতে কার্তিক একের পর এক ‘টেক’ নিয়েছিলেন। মোট ৩৭ বার!

এমন নয় যে ফিল্মে নায়িকাদের সঙ্গে ‌এর আগে চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করেননি কার্তিক। ২০১১ সালে বলিউডে তাঁর অভিষেক ফিল্ম ‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’-তেই নায়িকা নুসরত বারুচাকে চুমু খেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

তবে বাঙালি মেয়ে মিষ্টির সঙ্গে চুমুর দৃশ্যে এত নাজেহাল হলেন কেন? মজা করেই কার্তিক বলেছেন, সব দায় মিষ্টির!

চুমুর দৃশ্যে কী হয়েছিল? লাজুক মুখে কার্তিক বলেছেন, ‘‘হয়তো মিষ্টি ইচ্ছে করেই একের পর এক ভুল করে যাচ্ছিল। তাই টেকের পর টেক নিতে হচ্ছিল।’’

কার্তিক জানিয়েছেন, এক সময় তো সুভাষ ঘাইকেই তিনি বলবেন যে চুমু খাওয়া শিখিয়ে দিন। কার্তিকের কথায়, ‘‘ফিল্মের জন্য মিষ্টির সঙ্গে প্যাশনেট কিসের কথা বলেছিলেন সুভাষজি।’’ এর পর তাঁর ‘স্বীকারোক্তি’, ‘‘কী ভাবে চুমু খেতে হয়, আমি জানি না! এক বার ভেবেছিলাম বলব, ‘স্যর, দয়া করে দেখিয়ে দেবেন, কী করে চুমু খাব? চুমুর দৃশ্যে অভিনয়ে যে এত মাথাব্যথা, তা কে জানত!’ ’’

মিষ্টির সঙ্গে চুমুর দৃশ্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে কার্তিক বলেন, ‘‘সারা দিন আমরা প্রেমিক-প্রেমিকার মতো আচরণ করেছিলাম। তবে দিনের শেষে সুভাষজি খুশি, আমরা ঠিকঠাক চুমু খেয়েছিলাম!’’