বাগেরহাটে গনধর্ষণের মূল হোতা আটক

মাসুম বিল্লাহ, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের কচুয়ায় অস্ত্রের মুখে ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৪)কে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৬ শে ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এই মামলা করেন। এ ঘটনায় কচুয়া উপজেলার শাখারিকাঠি এলাকা থেকে এজাহার নামীয় আসামী এজাজুল মোল্লা (২২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
গ্রেফতারকৃত এজাজুল মোল্লা কচুয়া উপজেলার কলমিবুনিয়া গ্রামের কাদের মোল্লার ছেলে। এজাহার নামীয় অন্য আসামীরা হলেন একই গ্রামের আজাহার শেখের ছেলে সোহেল শেখ (২২),ইউসুফ শেখের ছেলে টিপু শেখ (২৫) এবং বারেক মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা (২৫)।
উদয়ন বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নির্যাতিতা কিশোরীকে সুচিকিৎসা ও আইনি সহায়তা প্রদান শুরু করেছে। শনিবার দুপুরে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শেখ আসাদ সহ চার সদস্যের একটি দল হাসপাতালে যায় এবং কিশোরী ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ঔষধ ও খাবার প্রদান করেন।
জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম, বাগেরহাটের সভাপতি ও উদয়ন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শেখ আসাদ বলেন, এই শিশুটির উপর যে নির্যাতন হয়েছে তা মধ্যযুগীয় নির্যাতনকেও হার মানায়। আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা কিশোরির পরিবারকে সব ধরণের সহযোগিতা করছি। সে সম্পূর্ণ সুস্থ্য এবং স্বাভাবিক জীবনে না ফেরা এবং অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি।
পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, নির্যাতনের বিষয়টি জানার পর থেকে অপরাধীদের আটকে কাজ করছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে এজাজুল মোল্লা নামের এক যুবককে আটক করেছি আমরা। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীর বাবা চারজনের নাম উল্লেখ মামলা করেছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধ্যানে আমরা ওই চারজনের সম্পৃক্তা পেয়েছি। অন্য কেউ এর সাথে সম্পৃক্ত আছে কিনা সে বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।উল্যেখ্য
ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার  রাতে বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে কচুয়া উপজেলার কলমিবুনিয়া গ্রামে ওই শিক্ষার্থীর ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে স্থানীয় চার বখাটে ৯ম শ্রেনিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায়  ২৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। বর্তমানে তিনি বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Attachments area