বাইশারীতে ছাগল চোরের বিচার চাওয়ায় মালিকদের প্রাণ নাশের হুমকি দিল চোর

জয়নাল আবেদীন টুক্কু, বান্দরবান: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের নারিচ বুনিয়ার পূর্বে থিমছড়ি  ১৮ ও ১৯ নং রাবার বাগানে গৃহপালিত কয়েকটি ছাগল দিন দুপুরে চুরি করে জবাই করে  বাড়িতে নিয়ে রান্না করে খাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যপারে ক্ষতিগ্রস্থ চিংঅংজাই মারমা, মোঃ আল আমিন,জাফর আলম ও মোশারফ  আলী বাদী হয়ে  আবুল কালাম পিতা আজিজ খা, রাকিবুল ইসলাম পিতা ইসহাক জমাদার ,  ইসহাক জমাদার পিতা হাতেম আলী জমাদার  উভয় সাং পূর্ণবাসন পাড়া ৮ নং ওয়ার্ড বাইশারী, মোঃ মুসা পিতা আলী হোসেন সাং কাচিখোলা বড়বিল,মোঃ হানিফ পিতা ছৈয়দ নুর সাং থিমছড়ি উভয় উপজেলা রামু, কক্সবাজার এদের বিরুদ্ধে  বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 
অভিযোগে প্রকাশ ১ নং আসামি থেকে ২ টি খাসি ছাগল,২ নং থেকে ২টি খাসি ছাগল,৩ নং থেকে ৩টি খাসি ছাগল ও ৪ নং থেকে ২ টি খাসি ছাগল মোট ৯ টি খাসি ছাগল রাবার বাগান থেকে উধাও হয়ে যায়। এ ব্যপারে বেশ কয়েকদিন খোঁজাখোজির পর অবশেষে এসব ছাগলের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। চুরের দল একদিন একটা কয়েকদিন পর একটা এ ভাবে জবাই করে পর পর ৯ টি ছাগল জবাই করে খাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এতদিন কোন খবর না মিললে ও এখন সব ছাগলের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাদীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় ১ নং বাদীর এক মাসের ব্যবধানে ২ টি খাসি ছাগল হারিয়ে যাওয়ায় তিনি হারিয়ে যাওয়া ছাগলের সন্ধান করতে থাকে। একপর্যায়ে জানা যায় ১ নং থেকে ৪ নং আসামি তার ছাগল চুরি করে জবাই করে খেয়ে ফেলে।  যা  আসামি আবু মুসার গেল ২ এপ্রিল জনসম্মুখে স্বীকারোক্তি মিলে যা এ প্রতিবেদকের ভিডিও রেকর্ড ধারণ করা আছে। ঐ ২ টি ছাগলের বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, আমি খুব শখ করে এ ছাগল পালন করেছিলাম, কিন্তু এভাবে যে দিন দুপুরে চুরি করে জবাই করে  খেয়ে ফেলল তার সঠিক বিচার তিনি দাবী করেন। স্থানীয় লোকজন বলেন ভুল ক্রমে একবার এরকম হয়ে থাকে কিন্তু  বারবার  একই ঘটনা হওয়ার মানে পরিকল্পিতভাবে ৯টি ছাগল চুরি করেছে চুরের দল। তাই এই জন্য সুষ্ঠ বিচার চেয়ে গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ জাফর বলেন, ছাগল চুরি যখন প্রমাণ মিলে তখন তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় সমাজের নেতা আনোয়ার আলম সালিশ বিচার করে মিমাংসা করে দিবে বলে আসামিদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দুই দিনের  সময় দেওয়া হয়। কিন্তু দুই দিন পরে এই ঘটনা স্থানীয় ভাবে সমাধান না হওয়ায় বিবাদীরা গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বাদীরা বলেন ১ নং থেকে ৪ নং আসামিকে চুরির দায় থেকে মুক্ত করার জন্য বিবাদী প্রভাবশালী ইসহাক জমাদার উঠেপড়ে লেগেছে। সে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের উল্টো অপহরণ কিংবা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসতেছে। তাই ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় পরিবার গুলো স্থানীয় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবি করেন। অপরদিকে এলাকাবাসী জানান এ ঘটনা বাইশারী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে আলোচনা আর সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।