বাংলাদেশের জমি চেয়ে বিপাকে ভারত

New folder

বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের কাছ থেকে ভারতে জমি চাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বেশ বিপাকে পড়ে গেছে দিল্লি। এ প্রসঙ্গে ভারতে রাজনীতিক বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেতে চাইছেন না। তারা জমি চাওয়ার বিষয়টি সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করছেন না।

কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে ভারতের জমি চাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পাচ্ছে। বলা হচ্ছে, ত্রিপুরার আগড়তলা বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চেয়েছে ভারত। ২০২০ এর মধ্যেই তারা পুরো কাজটা শেষ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলেও জানা গেছে।

ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বাংলাদেশের বেশকিছু এলাকার মানুষ আগরতলা বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। ওই বিমানবন্দরের রানওয়ে লম্বা হলে বড় বিমান সেখানে নামতে পারবে, বাংলাদেশের ওই অঞ্চলের মানুষও তখন সরাসরি দিল্লি-মুম্বাই আসতে পারবেন আগরতলা দিয়েই। কার্গো পরিবহনেও অনেক সুবিধা হবে, ফলে লাভ দুপক্ষেরই। তা ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যখন ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল, তখন ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দশ হাজার একর জমি ছেড়ে দিয়েছিল ভারত। ফলে আজ ভারত যদি মাত্র কয়েক একর জমি বিশেষ প্রয়োজনে চায়, সেতা অন্যায্য হবে না বলেই মনে করছে তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের অনেক দেশের মানুষই পাশের দেশের বিমানবন্দর ব্যাবহার করে। এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু ভারত যে দাবি করছে যে, ছিট মহল বিনিময়ের সময় তারা বাংলাদেশকে দশ হাজার একর জমি দিয়েছিল, এধরণের দাবি হাস্যকর। কারণ ছিটমহল বিনিময়ের সময় বাংলাদেশও ভারতকে জমি দিয়েছিল। তাছাড়া বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতকে ছাড় দিয়েছে। ভারতকে বিমান বন্দরের জায়গা দেওয়ার ওপরে বাংলাদেশের নিরাপত্তাও জড়িয়ে আছে। সুতরাং সব দিক বিবেচনা করেই বাংলাদেশ সরকারের এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।