বাংলাদেশিরা কেন ভালো করছে না টি-টোয়েন্টিতে

ডেস্ক : শোয়েব মালিক বিপিএল খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। আজ দুপুরে বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের সংবাদ সম্মেলনটা ছড়িয়ে পড়ল বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে। সেখানে চলে এল টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ধারাবাহিক ভালো না করা প্রসঙ্গটাও
বিপিএলে এখনো পর্যন্ত ফিফটি করেছেন ৮ ব্যাটসম্যান। এ ৮ ব্যাটসম্যানই বিদেশি। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে এখনো পর্যন্ত বলার মতো কোনো ইনিংস দেখা যায়নি। বিপিএল শুধু নয়, পুরো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ-মোস্তাফিজুর রহমানের মতো কজন বাদে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা এখনো সেভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, যাঁদের ভীষণ গুরুত্ব থাকবে বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে।

কদিন আগে আইসিসি যখন জানিয়ে দেয়, র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে না থাকায় ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে খেলতে হবে প্রাথমিক পর্বে। অথচ আফগানিস্তানও চলে গেছে সরাসরি ‘সেরা ১২’ পর্বে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কেন টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত নন? আজ বিসিবি একাডেমি মাঠে প্রশ্নটা করা হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে বিপিএল খেলতে আসা শোয়েব মালিককে।
পাকিস্তানি অলরাউন্ডার অবশ্য প্রশ্নটার উত্তর নয়, বরং বাংলাদেশ ক্রিকেটের পুরো চিত্রটা তুলে ধরলেন। যেখানে তিনি খুব একটা খামতি দেখছেন না, ‘যদি আপনি তিন সংস্করণেই দেখেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক উন্নতি হয়েছে। অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে যারা ভীষণ প্রতিভাবান। তাদের একটু অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে। এই দায়িত্বটা সিনিয়র ক্রিকেটারদের। তাদের শেখাতে হবে কীভাবে চাপ সামলাতে হয়। প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। তবে আজকাল ক্রিকেটে শুধু প্রতিভা দিয়েই হয় না। অভিজ্ঞতাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এটা নির্ভর করে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর যাতে তারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তরুণদের সঙ্গে। যেটা বললাম বাংলাদেশ ক্রিকেট সঠিক পথেই আছে। বিশ্বের সেরা দল হতে একটু সময় লাগবে। দল হিসেবে তারা যখন ধুঁকেছে, ওই সময় থেকে এখানে খেলছি। এখন বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী একটা দল।’
সিনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রশ্ন নয়, কথা হচ্ছে তরুণদের নিয়ে। সিনিয়রদের সঙ্গে যদি তরুণদের সমন্বয়টা দারণ হয় তখনই একটা দল ধারাবাহিক সফল হয়। শোয়েব মালিক অবশ্য তরুণ খেলোয়াড়দের সময় দেওয়ার পক্ষে। তিনি বরং সংবাদমাধ্যমকে আহ্বান করছেন, তরুণ খেলোয়াড়দের ব্যর্থতা নিয়ে কম সমালোচনা করতে, ‘তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার কাজটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। আমার মতে অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে এখানে, যারা দলের জন্য ভালো করছে। খুবই ভালো ও প্রতিভাবান এমন যদি এক-দুজনের নাম বলি তবে সেটা ঠিক হবে না। যখন আপনার মনে হয় কেউ একজন ভালো ক্রিকেটার নয় এবং দেশের হয়ে ভালো করতে পারছে না, আপনার উচিত তাকে সমালোচনা না করে সমর্থন দেওয়া। উপমহাদেশে এটা খুব হয়। সমালোচনা আপনার দেশকে শেষ করে দিতে পারে। আপনারা সবাই মশলাদার বিষয় পছন্দ করেন। আমরা দেখতে চাই মশালদার খবর। আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের পাশে থাকাটা ভীষণ দরকার।’