নিজস্ব প্রতিবেদক: মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে ব্যয়ের জন্য বিশ্বব্যাংক ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। বাংলাদেশ সরকার এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে কোভিড মহামারীর কারণে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, ব্যক্তিগতভাবে এবং অনলাইনে শিক্ষাদানের মিশ্র পদ্ধতির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে, শেখার ফলাফলের মান উন্নত করতে এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমাতে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার (২২সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড ওয়াশিংটনের সময় বাংলাদেশের জন্য এ অর্থের অনুমোদন দেয়। ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন’ (এলএআইএসই) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালে এ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ।
নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে দারুণ অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অফিসের প্রধান আবদোলায়ে সেক বলেন, তবে কোভিডের সময় স্কুলগুলো দীর্ঘায়িত বন্ধ থাকার ফলে খুবই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের একটি বড় অংশ স্কুল ছেড়ে দেয়।বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের ক্ষতি পূরণে বিশ্বব্যাংক সবসময় পাশে থাকবে।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে, সুদবিহীন ও স্বল্প শর্তে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এখনও বাংলাদেশের ৫৬টি প্রকল্প চালু রয়েছে, যার অর্থের পরিমাণ ১৬.০৭ বিলিয়ন ডলার।