বরগুনায় ফাইজার টিকা নেওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ ১৬ শিক্ষার্থী

মোঃ আল আমিন মল্লিক, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি: করোনার টিকা নেওয়ার পর বরগুনায় ১৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট হতে দেখে তাদের বরগুনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বরগুনা জিলা স্কুলের টিকা কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা নেয়ার পরপরই এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রিমু, লিজা, কারিমা, কলিলা, মীম, জুই, মারিয়া, ইলমা সহ ১২ জন পাথরঘাটা সরকারি হাজী জালালউদ্দিন মহিলা কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী। বাকি চারজনও একই উপজেলার মাজহারুদ্দিন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সমমানের শিক্ষার্থী।

কথা হলে মাজহারুদ্দিন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুপুর ১২টার দিকে টিকা দেয়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ দৃশ্য না দেখলে বলে বোঝানো যাবে না। ভয়ে ইউএনও, সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন সবাইকে কল দিয়েও কোন উপায় না পেয়ে এমপি মহোদয়কে কল দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেকেরই প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। তাদের অক্সিজেন লাগানো হয়েছে।

সরকারি হাজি জালাল উদ্দিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার পাল বলেন, মনেহয় শিক্ষার্থীরা ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অক্সিজেন লাগানো হয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠানের একজন মেয়ে একটু বেশি অসুস্থ। তবে চিকিৎসা ও অক্সিজেন দেয়ার পর বাকিরা মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠছে।

শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সরজমিনে পরিদর্শন করেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান। এসময় তিনি বলেন, গত দু’দিন ধরে বরগুনায় এসএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের ফাইজারের টিকা ক্যাম্প চলছে। গত দু’দিনে টিকা নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি। তবে হঠাৎ করে আজ দুপুরে টিকা দেয়ার পর ১৬ জন মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা পরিক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে দেখলাম অসুস্থ শিক্ষার্থীদের প্রেসার ও পালস সবকিছুই ঠিক আছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটাকে আমরা সাইকোজেনিক ইলনেস বলতে পারি। এটা ফিমেলদের মধ্যে বেশি হয়ে থাকে। বিষয়টি কনফার্ম হওয়ার জন্য ডাব্লিউএইচ থেকে ইনভেস্টিগেশন টিম আসবে। ইতোমধ্যে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অনেকেই সুস্থ হয়ে গেছে। আশাকরি বাকি শিক্ষার্থীরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।