বন্দর ইউপির সাবেক সচিব ইউসুফকে দ্রæত গ্রেফতার চান ইউপি চেয়ারম্যানরা

বন্দর প্রতিনিধি:বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের বিচার দাবি করেেেছন বন্দরের বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। স¤প্রতি কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হুসাইন প্রধান, ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহাম্মেদ, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের পর এবার গতকাল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সালাম চেয়ারম্যান দুর্নীতিবাজ ইউপি সচিবের দ্রæত গ্রেফতারসহ সঠিক তদন্তের মাধ্যেেম বিচারের দাবি জানিয়েছেন। চেয়াম্যান সালাম বলেন, চেয়ারম্যানরা দাপ্তরিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে সচিবদের উপর নির্ভরশীল থাকেন। ইউপি সচিব সরকারি ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদের একমাত্র কর্মচারী, জন্ম নিবন্ধ্ধ্ধন খাতে আদায়কৃত অর্থ আমাদের খরচ করার কোন অধিকার নাই। একজন সরকািির কর্মচারী হিসেবে আদায়কৃত এই সরকারি অর্থ সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা দেওয়া সচিবের ই প্রধান দাযয়িত্ব ছিল। সরকার তাদেরকে সার্ভারের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়েছেন, এ সুবাদে সে জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন করে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছাড়াই সনদ বিতরণ ও অর্থ আত্মসাতের সুযোগ পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, বন্দর ইউপির সাবেক সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বন্দর ইউপি ছাড়াও বিভিন্ন জেলার লোকজনকে বেআইনিভাবে জাল-জালিয়াতি করে জন্মসনদ অনলাইন নিবন্ধন করে এবং চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছাড়াই অর্থের বিনিময়ে বিতরণ করেছে। আর এর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের অধিক। জন্ম নিবন্ধেনের সরকারি ফি’র টাকা সচিবই সংগ্রহ করে এবং সেই টাকা তার মাধ্যমেই সরকারি খাতে জমা হয়। বন্দর ইউপির সচিবের দুর্নীতি ধরা পড়ার পর দেশের সকল চেয়ারম্যানকে সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছে। তিনি আরো বলেন,বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন একজন সম্্রান্ত পরিবারের সন্তান এবং তিনি একজন শিক্ষিত মানুষ। তার পক্ষে সরকারি টাকা তসরুপ করার প্রশ্নই উঠে না। জন্ম নিবন্ধন বিষয়ে সরকারের অর্পিত দাযয়িত্ব ও সচিবের ওপর চেয়ারম্যানদের আস্থা-বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে সচিব ইউসুফ ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। তাই আমাদের জোর দাবি তাকে দ্রæত গ্রেফতার করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা হউক। এতে করে দেশের সকল চেয়ারম্যানরা স্বস্তি পাবে এবং একটা দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে ইউপি সচিবরা আরো বেশি সতর্ক হবে। আমরা সচিব ইউনুফের দ্রæত গ্রেফতার দাবি করছি।