বন্দরে হিজড়া সেজে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মো: সহিদুল ইসলাম শিপু: বন্দরে বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, পার্ক ও দোকান পাট সর্বত্রই নকল হিজড়াদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। তাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে রীতিমত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। নিয়মিত চাঁদাবাজির পাশাপাশি টাকা হাতানোর নতুন নতুন কৌশলে শুরু হয়েছে। বিয়ে বিয়ে খেলা, হিজড়া বানানোর প্রলোভন এবং জিম্মি নাটক করে চলছে ব্যাপরোয়া চাঁদাবাজি। কারো সন্তান হলে, বিয়ে, সুন্নতে খাতনা কিংবা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান হলেই দলে বলে ভয়ংকর ভাবে হানা দিচ্ছে দল বেধে হিজড়ারা । চাঁদার হার করা হয়েছে কয়েকগুণ বেশি। আগে যেখানে ১০/২০ টাকা দিয়ে পার পাওয়া যেত সেখানে এখন ৫০/১০০ টাকা ক্ষেত্র বিশেষে ৫০০০/১০০০০ টাকা ও আদায় করা হচ্ছে। টাকা না দিলে অনেকটা হেনস্থা করা শুরু করে। মান সম্মানের ভয়ে অনেকেই টাকা দিতে বাধ্য হন। তারপরও যারা টাকা দেন না তাদের সঙ্গে করা হয় অসভ্য আচরণ। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে হিজড়ারা এমন আচরণ করে চাঁদা তুলে। কিন্তু তারা শুধুমাত্র দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এর চেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো আসল হিজড়াদের ভিড়ে নকল হিজড়াদের উৎপাত বেড়েছে আশংকাজনক ভাবে। আসল হিজড়াদের চেয়ে বেপরোয়া আচরণ করে নকল হিজড়ারা। বন্দরের দেউলী এলাকার মাইনুদ্দিন। ১৯৯১ সালের দিকে তিনি ভারত গিয়ে সার্জারি করিয়ে হিজড়া হয়ে আসেন। নিজের নাম রাখেন বর্ষা। মাঝে মাঝে নাম পাল্টে ফেলেন। বর্তমানে বর্ষা নাম দিয়েই তিনি চাঁদাবাজি সহ নকল হিজড়া তৈরির পেছনে কাজ করছেন। সমাজের ভাল পরিবারের ছেলেদের এনে টাকার লোভ দেখিয়ে নকল হিজড়া বানাচ্ছেন মাইনুদ্দিন। তার বেপরোয়া কাজে অনেক সময় আসল হিজড়ারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। নারায়ণগঞ্জ হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জানান, মাইনুদ্দিন নকল হিজড়া। সে আমাদের হিজড়া কল্যাণ সংস্থার কেউ না। তার বেপরোয়া আচরণে এলাকার অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকার শান্তিকামী মানুষজন।