বন্দর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী এম এ সালামের বিরুদ্ধে এক ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চেয়ারম্যান সালামের ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন মদনপুর মা হসপিটালস এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রুহুল আমিন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী মা হসপিটালস এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রুহুল আমিন জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
মা হসপিটালস এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মদনপুর ইউনিয়ন শ্রমীকলীগের সভাপতি ব্যবসায়ী শেখ রুহুল আমিন জানান, আমার মা হসপিটালস এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এর নবায়নের ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সচিবের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এরপর চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালামের ব্যক্তিগত কক্ষে তার সঙ্গে কথা বলি ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে চাই জানালে, চেয়ারম্যান তা করে দিতে পারবেন না বলে জানান। পরে চেয়ারম্যান আমাকে বলেন, ৫ লাখ টাকা দিলে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া যাবে। তখন আমি বলি, ‘এতো টাকা লাগার কথা না?’ চেয়ারম্যান বলেন, ৫ লাখ টাকা দিলে লাইসেন্স দেব, এরপর আমি ট্রেড লাইসেন্স না নিয়ে চলে আসি।
পরে আরো কয়েক জনের সাথে আলাপ করে জানতে পারি, মার্র্কেন্টাইল ব্যাংক মদনপুর শাখা, জাহিদ হোসেনের ওয়ালটন শোরুম, ইফাত গ্রম্নপসহ প্রতিটি ইট ভাটার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আমি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এব্যপারে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী এম এ সালামের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন না।