বন্দরে চাঁদা না পেয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত

বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ীসহ একই পরিবারে ৩ জনকে পিটিয়ে প্রাইভেটকার ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে মুছাপুর ইউনিয়নের দুই মেম্বারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো ড্রেজার ব্যবসায়ী হাজী সাহাবুদ্দিন (৫৮) তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪৫) ও ছেলে কাজল (২৫)। ওই সময় হামলাকারিরা ড্রেজার ব্যবসায়ী কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল সেট ও তার ছেলে কাজলের কাছ থেকে আরো একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। গত ১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের প্রেমতলা নামক এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহতদের আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী আহতদের মধ্যে ড্রেজার ব্যবসায়ী হাজী সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। এবং অপর আহত কাজলকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহত ড্রেজার ব্যবসায়ী হাজী সাহাবুদ্দিন ঘটনার ওই দিন দুপুরে বাদী হয়ে সন্ত্রাসী মনা মেম্বার ও সোহেল মেম্বার, ইকবাল, হান্না, শফিকুল, আলাল ও মাছুমকে আসামী করে বন্দর তানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে আহত ড্রেজার ব্যবসায়ী জানান, আমি মুছাপুর ইউনিয়নের তাজপুর এলাকার বাসিন্দা। এবং আমি পেশায় একজন ড্রেজার ব্যবসায়ী। মুছাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনা ও একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার সোহেলসহ মনা মেম্বারে ভাই ইকবাল দীর্ঘ দিন ধরে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়াতে মনা মেম্বার ও সোহেল মেম্বারগং আমাকে এবং আমার স্ত্রীসহ আমার সন্তানকে বেদম মারধর করে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল সেট এবং ঢাকা মেট্রো গ ২৬-০১০৭ নাম্বাররের একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে আরো ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। তারা আমাদের মরধর করেও উল্টা প্রান নাশের হুমকি দামকি অব্রহত রেখেছে। বর্তমানে চাঁদাবাজ দুই মেম্বার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে আমিসহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।