বড়হাতিয়া ইউনিয়নের  কাশেম মেম্বারের বিরুদ্ধে রেনুকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ।

কামরুরুল ইসলাম- ৯/৮/২০২২তারিখে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রেনু আরা বেগম (৪৩)স্বামী- গোলাম রহমান, মাতা -সারা খাতুন, সাং-বড়হাতিয়া, দক্ষিণ চাকরানী দুর্ল্লেতের পাড়া,ওয়ার্ড  নাম্বার ৯ সশরীরে হাজির হয়ে লোহাগড়া থানায় উক্ত ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাশেম (৫২), পিতা-  কবির আহাম্মদ, ২/মোঃ সমশু (৫৩)পিতা- মৃত অলি আহমদ, ৩/মোঃ হাশেম প্রকাশ বাইশ হাশেম(৩৮)পিতা -মৃত  সামসু   ওরা তিনজনের বিরুদ্ধে দর্শন করার চেষ্টার অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে বাদী রেনু আরা বেগম উল্লেখ করেন যে গত ৪/৮/২০২১ইংরেজি তারিখের রাতে আনুমানিক ৮ঘটিকার সময় কাশেম মেম্বার সহ আরো দুইজন বিবাদী  পরিকল্পিত  ভাবে পরস্পরের যোগসাজশে রেনু আরা বেগমের বাড়ির সামনে উৎপেতে থাকে, এই সময় রেনু আরা  বেগম বাড়িতে এশারের নামাজ আদায় করা অবস্থায় পিছন থেকে গিয়ে কাশেম মেম্বার তাকে জড়িয়ে ধরে রেনু আরা বেগম আরও জানায় ওই সময় কাশেম মেম্বার মদ্যপান অবস্থায় ছিল।রেনু আরা  বেগম আর উল্লেখ করেন কাশেম মেম্বার তাকে জড়িয়ে ধরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। ওই সময় রেনু আরা বেগম আত্মচিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তাদের সামনে রেনুকে কাশেম মেম্বার অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং মারধর করতে উদ্যত হয় এবং উপস্থিত প্রতিবেশীর সামনে ধাক্কা  দিয়ে মাটিতে ফেলে দে। উক্ত বিষয় নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গত ৮/৮/২০২১ইং তারিখ রাত অনুমান ৭ ঘটিকার সময় কাশেম মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রেনুর বাড়িতে হামলা করে। এবং ঘরের দরজা জানলা ও আসবাবপত্র সহ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি করে।এই বিষয়ে রেনু আরা বেগমকে আরো সাসিয়ে  জানযে এই বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে লেনো আরা বেগমকে ও তার স্বামী -গোলাম রহমান কে মারধোর সহ বিভিন্ন মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে এবং প্রকাশ্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে এমতাবস্তায় লেনো আরা বেগম ও তার স্বামীসহ পরিবারের জীবন বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে তাই এ বিষয়ে লেনো আরা বেগম স্থানীয় প্রশাসনসহ এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এই বিষয়ে কাশেম মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমিও বিষয়টি শুনেছি আপনারা এবং প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ অন্যদিকে লোহাগাড়া উপজেলার নারী জাগরণের অগ্রধুত নারী নেতৃ কহিনু আক্তার বলেন আমি বিষয়টি জেনে খুবই দুঃখ পেয়েছি একজন জনপ্রতিনিধি কি করে এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা করে তার উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম 15 আসনের মাননীয় সংসদ ড. প্রফেসর আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি মহোদয়ের  সহধর্মিনী কেন্দ্রীয় আওয়ামী  মহিলা লীগের সদস্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা নারী জাগরণের অগ্রদূত বিশিষ্ট নারী নেত্রী রিজিয়া  রাজা চৌধুরী কে অবগত করেছি তিনি বলেছেন এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে তাই আমরা থানায় অভিযোগ করেছি আমরা আশা করি লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ  সঠিক বিচার করবে। আর এই বিষয়ে লম্পট মেম্বার কাশেমের সাথে দেখা করতে চেয়েও দেখা করা সম্ভব হয়নি তবে তার মুঠোফোনে কথা বললেও তিনি এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দেননি।