আবুসাঈদ শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আরও একটি জেব্রার মারা গছে। এ নিয়ে চলতি মাসে ১০টি জেব্রার মৃত্যু হল। গত ২২ দিনে নয়টি জেব্রার মৃত্যুর পর শনিবার (২৯ জানুয়ারী) সকালে আরও দুটি জেব্রা অসুস্থ হয়েছে বলে জানিয়ছেন পার্ক কতৃপক্ষ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই দুটির একটি জেব্রা মারা গেছে।
জেব্রাগুলোর মৃত্যু প্রতিরোধে জরুরি চিকিৎসা দিতে এবং এধরনের অসুস্থতার কারণ উদঘাটনে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা সাফারি পার্কে শনিবার (২৯ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় জরুরি সভায় বসার সম্ভাবনা রয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ। তবে কি কারনে জেব্রাটি মারা গেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিুর রহমান। মারা যাওয়া জেব্রাটির পোস্টমর্টেম চলছে বলে জানিয়েছেন পার্কের ওই কর্মকর্তা।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিুর রহমান জানিয়েছেন, কয়েকদিন যাবত দুটি জেব্রা গুরুতর অসুস্থ অবস্থা চলছিল। ওই দুটি জেব্রার মুখ দিয়ে লাল পড়ছিল, পেট ফুলে যাওয়া এবং হাঁটতে পারছিল না। পরে শনিবার (২৯ জানুয়ারী) সকালে জেব্রা দুটি মাা যায়। পার্কের বেষ্টনীতে জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহেই পরপর পেট ছিদ্র করা অবস্থায় তিনটি। মুখে লালা, রক্ত আসা ও শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে মারা যায় আরো ৭ টি জেব্রা।
পার্ক সূত্র জানিয়েছে, মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা হলেন, জাতীয় চিড়িয়াখানার অবসরপ্রাপ্ত কিউরেটর ড. এবি এম শহীদুল্লাহ, ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, প্রফেসর আবু হাদি নুর আলী খান এবং সাফারি পার্কের ভেটারেনারি চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন।
কেন্দ্রীয় ভেটারেনারি হাসপাতালের পরিচালক ড. শফিউল আহাদ সরদার (স্বপন) এবং কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম আজম চৌধুরী সভায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত থকার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ৯টি জেব্রা মারা যায়। ওই ঘটনায় গঠিত বিশেষজ্ঞ বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড মারামারি করে চারটি এবং অন্যান্য পাঁচটি জেব্রা ইনফেকশনাল ডিজিজে মারা গেছে বলে জানায়। আর জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং করণীয় বিষয়ে মতামত দেওয়ার লক্ষ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।