বগুড়ায় প্রেমিক বিয়েতে রাজি না হওয়ায় থানায় মামলা দায়ের

আব্দুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার নন্দীগ্রামে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের নামে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ২নং নন্দীগ্রাম ইউনিয়নের হাটলাল গ্রামের বাবর আলী নান্টুর মেয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ে। তাঁর মেয়ের সাথে একই গ্রামের তাইজুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম ১৮, এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।এ কারণে ওই মেয়ের অভিভাবকরা তার সাথে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি অপ্রাপ্ত হওয়ায় রবিউল ইসলামের পরিবার এ বিয়েতে রাজি হয়নি। সে কারণে তাদের বিয়ে থেমে যায়। গত ২৯ জুন দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় রবিউল ইসলাম ওই মেয়ের সাথে দেখা করতে যায়। তখন মেয়ের পিতা ও চাচারা রবিউল ইসলামকে ধরে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয়।রবিউল ইসলামের পিতা-মাতা ঢাকা গার্মেন্টসে চাকুরী করার সুবাদে ঢাকায় অবস্থান করায় সে বিয়েতে রাজি হয়নি। এরপর বিষয়টি নন্দীগ্রাম থানা পুলিশকে জানায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় থানার এসআই চাঁন মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গিয়ে ছেলে ও মেয়েকে থানায় নিয়ে আসে। এরপর মেয়ের পিতা বাবর আলী নান্টু বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। এরপর ৩০ জুন পুলিশ রবিউল ইসলামকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। রবিউল ইসলাম অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।এ বিষয়ে মেয়ের পিতা বাবর আলী নান্টুর সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন। আমার মেয়ের সাথে রবিউল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি তাকে একটি মোটরসাইকেল উপহার দেয়ার সর্তে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম কিন্তু সে এ বিয়েতে রাজি হয়নি। সে দিন রাতে আমার মেয়ে বাড়ির বাহিরে আসলে রবিউল ইসলাম ধর্ষণের চেষ্টা করে।এ কারণে আমরা তাকে আটক করে রেখে পুলিশকে খবর দেয়ার পর পুলিশ এসে ছেলে ও মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। তারপর আমি বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছি। মেয়েকে বিয়ে করলে আমি আপস করতে রাজি আছি। ছেলের পিতা তাইজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে আটক করে তাদের অপ্রাপ্ত মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। যাহা আইনত দন্ডনিয়  অপরাধ।এ ব্যপারে থানার এসআই চাঁন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করেন।