ফণীর অগ্রভাগ প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে, আক্রান্তের তালিকায় ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় ফণীর অগ্রভাগ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ফণির আঘাতে সবচেয়ে বেশি আক্রন্ত হতে পারে এমন এলাকাগুলো হল- খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, ফরিদপুর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও তার আশেপাশের এলাকা।

আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এরই মধ্যে জনসাধারণকে অতিদ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করা হেয়েছে। ফণী উপকূল অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশের উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এরই মধ্যে ফণীর প্রভাবে বাঁধ ভেঙে পটুয়াখালী ও বাগেরহাটের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরইমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বজ্রপাতে কয়েকজন নিহতের খবরও পাওয়া গেছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়টি সকালে উড়িশ্যা উপকূল অতিক্রম করে। এটি এখন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছে। পশ্চিমবঙ্গের হালদাবাড়ি, রায়দিঘী, ঝাড়খালি, পিরেজগঞ্জ, নামখানা, গঙ্গাসাগর, রোরখেলা ও কলকাতায় ফণির তাণ্ডব চলছে।

ফণী ভারত অতিক্রম করে খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার রাতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার পর ঝড়টি কিছুটা হালকা হয়ে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে সারাদেশে শুক্রবার বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে ৫ তারিখ সকাল পর্যন্ত বিরতি দিয়ে চলবে।