প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও আসছ ব্যাপক পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও আসছ ব্যাপক রদ-বদল। আসছে পরিবর্তন। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার তিন সপ্তাহ পর তিনি তাঁর নিজের কার্যালয়ে পরিবর্তনে হাত দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনেক পরিবর্তন হবে খুব শিগগীর।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে ২০০৮ থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন সাইদুজ্জামান শিখর। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মাগুরা একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিবের পদ এখনো শূন্য। এই পদে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার গাজী হাফিজুর রহমানকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। গাজী হাফিজুর রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার- ১ পদ থেকে মনজিলা ফারুককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই এখানে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব মনিরুননেছা মিনুকেও বাদ দেয়া হয়েছে। তাঁর স্থলে একজন নারী সাংবাদিককে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী সেলিনা খাতুনও সরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তাকে জাতীয় সংসদে মহিলা আসনে এমপি করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তার জায়গায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত সাংগঠনিক সম্পাদকদের একজনকে আনা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী প্রেস উইং এর দুজন সহকারি প্রেস সচিবকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমান প্রেস সচিব এসানুল করিম হেলালের মেয়াদ আছে আগামি মে মাস পর্যন্ত। এরপর আর তাঁর চুক্তি নবায়ন করা হবে না বলেই জানা গেছে। এখানে কে বসবে তা এখনো নির্ধারিত নয়।

এছারাও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মহাপরিচালক এবং পরিচালক পদে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আছেন, এমন অনেককে সরিয়ে নতুন মুখ আনা হবে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, কার্যালয়ের সঙ্গে দপ্তরের সম্পর্ক তৈরী করতে বিশেষ সহকারি পদ বাড়ানো হতে পারে। এখানে কয়েকজন রাজনৈতিক মুখ আসতে পারে বলে জানা গেছে। তবে কারা আসবে এবং তাঁদের পদোন্নতি কি হবে, সে সম্পর্কে এখনো আলোচনা চলছে।

জানা গেছে, যারা চলে গেছেন বা চলে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নয়, স্রেফ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতি এবং উদ্যম আনতেই এইসব পরিবর্তন করতে হচ্ছে। নতুনরা এলে নতুন উদ্যমে কাজ করবেন, নতুন পরিকল্পনা নেবেন, এতে কাজের গতি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এবার প্রধানমন্ত্রী দ্রুতগতিতে কাজ করতে চান। কারণ গত দশ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। এখান থেকে আরো উন্নতি করা কঠিন এবং কষ্টসাধ্য। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী বার বার কঠোর পরিশ্রমের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। এজন্যই তিনি চাইছেন তাঁর কার্যালয়েও নতুন রক্ত সঞ্চালন।