পেয়ারা বিক্রেতাকে মারধর করা সেই এএসআই বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় পেয়ারা বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই জাহিদ হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে এ নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) এস এম মোস্তাইন হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পেয়ারা বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই জাহিদ হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৩০ জনকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে রাস্তার পাশে বসাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পেয়ারা বিক্রেতাকে মারধর করে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য জাহিদ। মারধরের এক পর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্যের লাথিতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন পেয়ারা বিক্রেতা। পরে স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার জের ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতার কয়েকদফা সংঘর্ষ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে হামলার শিকার হয়ে আহত হয় কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম, কর্ণফুলী উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা ভূঁইয়া নিশি, চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীসহ আরও ১০-১২ জন।