পেঁয়াজ খেয়ে কমতে পারে ব্লাড সুগার

ডেস্ক রিপোর্ট: ডায়ায়েটিসে আক্রান্ত হলে সহজে সুগার কমানো যায় না। সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কঠিন বিষয়। তার জন্য দরকার হাঁটা, প্রয়োজনীয় এক্সারসাইজ ও বিশেষ ডায়েট। বহু খাবার বাদ যায় সুগারের ডায়েটে।
সুগার নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। কিডনি থেকে হার্ট সবই বিগড়ে যেতে পারে। তাই সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি।

অনেকেই হয়ত জানেন না যে আমাদের বাড়িতে প্রায় প্রত্যেকদিনের রান্নায় লাগে এমন একটি সাধারণ জিনিসেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। আর সেটা হল পেঁয়াজ। সব রান্নাতেই প্রায় পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিশেষভাবে পেঁয়াজ খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।

পেঁয়াজের কি কি গুণ:

একাধিক গবেষণা দেখা গিয়েছে লাল পেঁয়াজ খেলে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে ব্লাড সুগার। টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে পেঁয়াজ। Journal Environmental Health-এ প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য বলছে, ১০০ গ্রাম লাল পেঁয়াজ মাত্র চার ঘণ্টায় রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারে।

কিন্তু পেঁয়াজে ব্লাড সুগার কমে কেন?

১. এতে Glycaemic index কম থাকে। কোনও খাবার খেলে রক্তে সুগারের মাত্রায় যে প্রভাব পড়ে তাকে Glycaemic index বলা হয়। যেসব খাবারে Glycaemic index ৫৫-এর কম থাকে, সেগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। আর পেঁয়াজের Glycaemic index ১০। তাই এটি অত্যন্ত ভালো সুগারের ক্ষেত্রে।

২. অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেড থাকা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে। বেশি কার্বোহাইড্রেড টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। আর পেঁয়াজে কার্বোহাইড্রেডের মাত্রা খুব কম থাকে। হাফ কাপ কুঁচানো পেঁয়াজে কার্বোহাইড্রেড থাকে মাত্র ৫.৯ গ্রাম। সুতরাং এটিও সুগারের জন্য ভালো।

৩. ডায়াবেটিসের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ফাইবার। আর পেঁয়াজে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকে। ফলে পেটের সমস্যা হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রত্যেকদিন পেঁয়াজ খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ও হার্ট সুস্থ থাকে।

কীভাবে খাবেন পেঁয়াজ

কাঁচা পেঁয়াজ খেলে তবেই ব্লাড সুগারে এফেক্ট হতে পারে। আর অবশ্যই লাল রঙের পেঁয়াজ হতে হবে। লাঞ্চ ও ডিনার দু’বারই কাঁচা পেঁয়াজ খান। স্যালাডে যুক্ত করুন পেঁয়াজ। স্যান্ডউইচেও দেওয়া যেতে পারে।

আর কোন খাবারে কমে ব্লাড সুগার

এমন অনেক খাবার রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। যেমন, জাম, এলাচ, ডিম, বাদাম, হলুদ, ব্রকোলি, অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। এগুলি প্রত্যেকদিন খাওয়া গেলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার। আর সব শেষে অবশ্যই আপনাকে থাকতে হবে চিন্তামুক্ত।